• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং

চরভদ্রাসন উপজেলা নিবার্চন

আ.লীগ দলীয় প্রার্থী যোগ দিলেন স্বতন্ত্র এমপি নিক্সন চৌধুরীর সাথে

আসন্ন চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের নিবার্চনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও চরভদ্রাসন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ কাউছার হোসেন ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ প্রার্থী মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীর সাথে যোগ দিয়েছেন।

আজ শুক্রবার বিকেলে ভাঙ্গা উপজেলার চর ব্রাক্ষ্মণপাড়া গ্রামে নিক্সন চৌধুরীর বাসভবন প্রাঙ্গণে এ যোগদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে একটি সোনার নৌকা মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন এমপির হাতে তুলে দিয়ে তার সাথে যোগ দেন কাউছার হোসেন। এরপর ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে নিক্সন চৌধুরীর সাথে আরো যোগ দেন চরভদ্রাসন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রুবেল হোসেন মোল্যা, সাধারণ সম্পাদক বাবুল মন্ডল ও যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম মৃধা।

অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন বলেন, ‘যদি থাকে নসিবে আপনা আপনি আসিবে। দুই দুইবার আমি এমপি নিবার্চিত হইছি। আমার শরীরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে আওয়ামী লীগের রক্ত। আজকে অনেক বিএনপি নেতাও আমার সাথে জয়বাংলা স্লোগান দেয়। এটি আমার প্রাপ্তি বলে মনে করি।’

তিনি বলেন, ‘কাজী জাফরুল্লাহ গত ৬ মাসেও এলাকায় আসেননি। আমি কাজী জাফরুল্লাহর মতো নৌকা বাইনা। আমি বঙ্গবন্ধুর নৌকা বাই। বিভিন্ন প্রতিকূলতা অতিক্রম করেই আমি এলাকাবাসীর জন্য কাজ করছি।’ তিনি তার সমর্থিত প্রার্থী আনোয়ার আলী মোল্যার প্রতি সহমর্মিতা জানান কাউছারকে সমর্থন করে নিবার্চন থেকে সরে দাড়ানোর জন্য।

নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘ আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি যে আমি নৌকার বিপক্ষে রাজনীতি করিনা । আমি তিন থানার জনগণকে মুক্ত করার জন্য একজনের বিপক্ষে রাজনীতি করি। বিএনপির প্রার্থী ও সমর্থকদের বলে দিচ্ছে, এবার আমি নিক্সন চৌধুরী নৌকার প্রার্থীকে নিয়ে নামছি। নৌকা প্রার্থীকে বিজয়ী করে শেখ হাসিনাকে উপহার দিবো ইনশাআল্লাহ।

নিক্সন চৌধুরী বলেন, আমার শরীরে বঙ্গবন্ধুর রক্ত। কিন্তু এখনো আওয়ামী লীগে যোগ দেইনি। সামান্য কিছু দিন বাকি আছে। আর বড়জোর মাত্র ২০ দিন পর হয়তো এটা সম্পন্ন হবে। তবে লজ্জা হয় কাজী জাফরুল্লাহ বিএনপির প্রার্থীকে এখনো দাড়িয়ে থাকার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, তার লোকেরাই বিএনপির প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়ী করবে।
অনুষ্ঠানে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রাথী কাউছার তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমি ইতিপূর্বে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরুল্লাহর বিশ্বস্ত হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছি। কিন্তু তিনি (কাজী জাফরুল্ল্লাহ) মানুষের প্রতি সম্মান দিতে জানেন না। এর আগে তিনবার আমি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নিবার্চন করি তার অনুরোধে। কিন্তু শুধুমাত্র তার (কাজী জাফরুল্লাহর) বেঈমানীর কারণে তিনবারই আমি পরাজিত হই।’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের লোক গোপনে খবর নিছে, সুষ্ঠ নিবার্চন হলে স্বতন্ত্র এমপির সমর্থন ছাড়া আওয়ামী লীগের প্রার্থী জিতবে না। তারপর অনেক ভেবেচিন্তে পরামর্শ করে এমপি সাহেবের সাথে দেখা করে তার সাথে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিছি।’

কাউছার বলেন, ‘নৌকাকে হারালে প্রধানমন্ত্রীর মুখ বেজার হয়ে যায়। তাই প্রধানমন্ত্রীর মুখ উজ্জল করার জন্যই আমি নিক্সন চৌধুরীর সাথে যোগ দিলাম। আমি তিনবার ফেল করছি। এবারের নিবার্চনে দয়া করে আপনারা নৌকায় ভোট দিয়ে প্রমাণ করবেন যে, নিক্সন চৌধুরী বিজয়ের কারিগর।’

‘আমি বাকি জীবন আর কাজী জাফরুল্লার সাথে থাকবো না। বাকি জীবন নিক্সন চৌধুরীর সাথে থাকবো এই কথাই সকলের সামনে বলে গেলাম।’ মোঃ কাউছার যোগ করেন।

আগামী ১০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের নিবার্চন। এ নিবার্চনে মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীর সমর্থিত প্রার্থী ছিলেন আনোয়ার আলী মোল্যা। তবে সভায় তিনি নিবার্চন হতে সরে গিয়ে নিক্সন চৌধুরীর সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে মোঃ কাউছারকে সমর্থন দেয়ার কথা ব্যক্ত করেন।
ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন সদরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী শফিকুর রহমান, সদরপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বাবুল হোসেন ও চরভদ্রাসন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মুরাদ।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।