ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের প্রকাশ্যে গণশুনানীতে এবার পড়ালেখা অব্যহত রাখার জন্য বই পেয়েছে সাদিয়া। আজ বিকেলে সাদিয়াকে বই তুলে দেন জেলা প্রশাসক।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের প্রকাশ্যে গণশুনানীতে এবার পড়ালেখা অব্যহত রাখার জন্য বই পেয়েছে সাদিয়া। আজ বিকেলে সাদিয়াকে বই তুলে দেন জেলা প্রশাসক।
জেলার মধুখালী উপজেলার সরকারি আইনদ্দিন কলেজের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী সাদিয়া ইসলাম মৌ। এ বছরের শুরুতে এসএসসি পরীক্ষা পাশ করে কলেজে ভর্তি হয়। পিতা রাজু আহমেদ অসুস্থ। কোন উপার্জন নাই। মা হাসিয়া বেগম টিউশনি করে কোন মতে সংসার চালান। কিন্তু বিশ্ব মহামারী করোনার প্রাদুর্ভাবে হাসিয়া বেগমের টিউশনি বন্ধ হয়ে যায়। প্রথমে হাতে জমানো কিছু টাকা দিয়ে কোন রকমে সংসার চললেও পরে আর চালাতে পারছিল না। এ পরিস্থিতিতে বেকায়দায় পড়ে যায় সাদিয়া। ক্লাসের অন্যান্যরা বই কিনে বাসায় বসে পড়ালেখা শুরু করলেও ওর পক্ষে আর সম্ভব হয় নি। এভাবে কেটে যায় ৩ মাস। অর্থাভাবে বই না কিনে বাসায়ই বসে থাকে। এরই মাঝে হঠাৎ প্রতিবেশির মাধ্যমে জানতে পারে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার প্রতি বুধবার নিজ কার্যালয়ের অফিস কক্ষের সামনে প্রকাশ্যে গণশুনানী করেন। এ সময় জনগণের সমস্যার যথাযথ প্রমান পেলে জেলা প্রশাসক তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন বলেও তিনি জানতে পারেন।
প্রতিবেশির কথা মোতাবেক আজ বুধবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২০ সকালেই সাদিয়া আর তার মা চলে আসে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে। সকাল ১০ টায় শুরু হয় গণশুনানী। সাদিয়া আর তার মা অর্থাভাবে বই না কিনতে পারার কথা জানান। জেলা প্রশাসক অতুল সরকার ঘটনা যাচাইঅন্তে তাদের বসতে বলেন। এই মধ্যে বাজার থেকে সাদিয়া ইসলাম মৌ এর জন্য বই কিনে আনা হয়। গণশুনানী শেষে সাদিয়া ইসলাম মৌর হাতে বই তুলে দেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার।
বই পেয়ে সাদিয়া তার অনুভূতিতে বলে, ডিসি স্যার আমার খুউব উপকার করলেন। তার প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো। সাদিয়া আরো বলে, আমি কিছু কিছু বিষয়ে দুর্বল। এবার বই পেয়ে আগামী এইচএসসি পরীক্ষায় সর্বাত্নক ভাল রেজাল্ট করার চেষ্টা করবো।