• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
ফরিদপুরে বেড়েছে সবজির দাম

সনতচক্রবর্ত্তী:ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন  বাজারগুলোতে অধিকাংশ সবজির দাম বেড়েছে। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় স্থিতিশীল রয়েছে কাঁচা মরিচের দাম। গতকাল ফরিদপুরের  বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের মতো কেজিপ্রতি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা দরে। তবে আলু-পেঁয়াজসহ বেশির ভাগ সবজির দাম বেড়েছে। শুক্রবার ফরিদপুর জেলার কাঁচা বাজারের বিভিন্ন দোকান   ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

সবজির দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রায় সপ্তাহখানের আগে বৃষ্টির এবং বৃষ্টির কারণে কিছু সবজির ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এর পর জ্বালানি তেলর দাম বৃদ্ধি ।তবে মিষ্টি কুমড়া, বেগুন, কাঁকরোল,লাল শাক,পালন শাক,টমেটো,পাতা কপি,ফুল কপি, ওল কপি, করলাসহ প্রায় সব সবজিই বাজারে আছে। বৃষ্টির কারণে মরিচের ক্ষেতে তেমন বেশি  ক্ষতি না হয়ে বরং ফলন বেড়েছে। আমদানিও বেশি, ফলে দাম কমেছে।

গতকাল ফরিদপুর  শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে৪০- ৫০ টাকায়, ফুল কপি ৫০-৬০ টাকা, পাতা কপি২০-২৫ টাকার, করলা ৫০ টাকা, সিম৩৫- ৪০ টাকা, দেশি আলু ১৫-২০ টাকা, ডায়মন্ড-কার্ডিনাল আলু ১৫-২০ টাকা, ফুলকপি প্রতি  কেজি৪৫ -৫০, পেঁয়াজের ফুল প্রতি আঁটি ২০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৩০ -৪০টাকা, মুলা প্রতি কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা, কাঁচা পেঁপে প্রতি কেজি ২০-২৫ টাকা, বাঁধাকপি প্রতি পিস২০ -৩০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি৩০- ৪০ টাকা, ক্ষীরা প্রতি কেজি৩৫- ৪০  টাকা, টমেটো প্রতি কেজি৩৫- ৪০ টাকা  দরে বিক্রি  হচ্ছে।

এদিকে দু-সপ্তাহ আগে পেঁয়াজের দরপতন হলেও বর্তমানে ক্রমেই বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। পুরাতন দেশি পেঁয়াজ বাজারে তেমন দেখা না মিললেও মধ্য- মানের দেশি পেঁয়াজে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিতে। আর আমদানি করা ভালোমানের পেঁয়াজ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়।

পেঁয়াজের বাড়তি দামের বিষয়ে বাজারের খুচরা বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। গত শুক্রবারে একটু কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। আজ (গতকাল বৃহ:বার ) প্রতি কেজি ৫-৭ টাকা বেড়েছে। মুড়ি কাটা (চারা পেঁয়াজ) বাজারে এলে দাম কমতে শুরু করবে হয়ত। এছাড়া সামনে পেঁয়াজের দাম কতটা কমবে নিশ্চয়তা নেই। বাংলাদেশে কখন কোন জিনিসের দাম বাড়বে কেউ জানে না।’

হাজী শরিয়ত উল্লাহ  বাজারে আসা ক্রেতা রাজ্জাক মোল্লা  বলেন, ‘কৃষক পর্যায়ে আলুর কেজি ৫-৭ টাকা। কিন্তু বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা। বেগুনের কেজি ৫০ টাকা। তাই হাফ কেজি বেগুন আর ২ কেজি আলু কিনলাম। এক লিটার তেলের বোতল কেনার পর আর টাকা নেই। মানুষ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে হাঁসফাঁস করছে।’

একই বাজারের খুুচরা সবজি বিক্রেতা  ইসলাম সেখ বলেন, এ বছর শুরু থেকেই গত বছরের তুলনায় সবজির দাম বেশি। তবে সবজির বাজার বেশি থাকার আরেকটি কারণ হলো, প্রাণঘাতী করোনার প্রভাব পড়েছে যেমন নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনে তেমনি বাজারব্যবস্থার ওপর। প্রতিদিনের চাহিদা পূরণ করতে গুনতে হচ্ছে পণ্যের অস্বাভাবিক দাম। দেশের ও সাধারণ মানুষের বর্তমান অবস্থাকে পুঁজি করে একদল অসাধু ব্যবসায়ী বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে চলছে। প্রশাসনের কর্মকর্তারা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করেও এই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির লাগাম টানতে পারছেন না। যার ফলে দুই থেকে তিন গুণ দাম বেশি দিয়েই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে হচ্ছে মানুষকে।এছাড়া উৎপাদন খরচ বেড়েছে। সার-ওষুধের দাম বেড়েছে। তাই সবজির দামও বেশি। যতখানি কৃষক পর্যায়ে দাম বাড়ে তার তিনগুণ বাড়ে ভোক্তার কাছে এসে।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।