নুরুল ইসলাম,সদরপুর প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুর জেলার মধ্যে পিঁয়াজ চাষে অন্যতম উপজেলা হচ্ছে সদরপুর।এ এলাকার চাষীরা অধিক পরিমানে পিঁয়াজের আবাদ করে থাকে। ফলে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যায় ব্যবসায়ীরা। বিগত দিন গুলোতে পিঁয়াজ আবাদ করে বেশ লাভবান হচ্ছিল এ অঞ্চলের চাষীরা। ফলে দিনকে দিন সদরপুরের চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকার বিস্তির্ণ এলাকা জুড়ে আবাদ হচ্ছে পিঁয়াজ। এবছর উপজেলায় মুড়ি কাটা পিঁয়াজের বাম্পার ফলন হলেও কাঙ্খিত দাম না পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাঁসি নেই। ঘূর্ণিঝড় যাওয়াদের কারনে ও প্রতিকূল আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় পিঁয়াজ চাষীরা বারবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তারপরেও লাভের আশায় পুনরায় বীজ বপন করে চাষীরা। চার মাসক্ষেত পরিচর্যা শেষে বর্তমানে পিঁয়াজ তোলার ব্যাস্ত সময় পার করছেন তারা।
পিঁয়াজ চাষীরা জানান, প্রতি বিঘা জমিতে পিঁয়াজ চাষ করতে খরচ হয়েছে প্রায়৭০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা । প্রতি বিঘাজমি থেকে ৭০ থেকে ৯০ মণ পিয়াজ উৎপাদন হয়েছে। বর্তমানে বাজারে প্রতি মন পিঁয়াজ ৮শ থেকে ১২শ টাকা বিক্রি হচ্ছে। উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় বর্তমানে পিঁয়াজের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় আমরা ক্ষতিগ্রস্হ হচ্ছি।
সদরপুর উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা বিধান রায় জানান, এবছর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ৬শ ৬৩ হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা পিঁয়াজের আবাদ হয়েছে। পিঁয়াজ চাষীদের মাঝে সরকারি ভাবে প্রনোদনার আওতায় এনে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর থেকে সার, বীজসহ বিভিন্ন ধরনের কারিগরি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে পিঁয়াজের বাজার দর নিম্মমূখী হওয়ায় কৃষকের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে কিছুটা বেগ পেতে হবে।