ফরিদপুরে চিকিৎসকদের এন ৯৫ মাস্ক প্রদান করলেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন এমপি
জিল্লুর রহমান রাসেল,ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় নিয়োজিত ডাক্তার, নার্সদের সুরক্ষার জন্য এন ৯৫ ও কোএন ৯৫ মাস্ক প্রদান করা হয়েছে।এসময় ফরিদপুর সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও এলজিআরডি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এমপি বলেছেন, এসময়ে চিকিৎসক ও নার্সদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দেওয়া অতিব জরুরী। তাদের চিকিৎসা সেবায় এই বিষয়টি সবার আগে খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে।
তিনি বলেন, ফরিদপুরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসকগণ নিজেদের সুরক্ষার বিষয়টি নিয়ে শঙ্কিত ছিলেন। চিকিৎসকেরাই যদি শঙ্কিত থাকেন তাহলে সাধারণ রোগীরা আরো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এই কারনে তাদের দিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে সবার আগে।
মঙ্গলবার দুপুরে শহরের বদরপুরের বাসভবন আফসানা মঞ্জিলে উপস্থিত চিকিৎসক প্রতিনিধিদের নিকট মাস্ক হস্তান্তরের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ (ফমেক) এর করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসকদের জন্য ফমেক এর অধ্যক্ষ ডাঃ এস এম খবিরুল ইসলামের হাতে এন-৯৫ মাস্ক ৫০ টি ও কেএন ৯৫ মাস্ক ৬০টি মোট ১শ’ দশটি মাস্ক তুলে দেন ।
চিকিৎসকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য নিজ উদ্যোগে তাদের জন্য এসব মাস্ক এনে সরবরাহ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ফরিদপুরে এখন চিকিৎসকদের আগের সেই সঙ্কট কেটে গেছে আশাকরি। করোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় কার্যকরী মাস্ক খুবই জরুরী চিকিৎসকদের জন্য।
এসময় ফমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুর রহমান, বিএমএ ফরিদপুরের সভাপতি ডা.আ স ম জাহাঙ্গীর চৌধুরী টিটো, সাধারন সম্পাদক ডাঃ মাহফুজুর রহমান বুলু, ডাঃ গনপতি বিশ্বাস শুভ, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক এ এইচ এম ফোয়াদ, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী বরকত ইবনে সালাম, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ ইমতিয়াজ হাসান রুবেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত ফমেক হাসপাতালের করোনা ডিটেকটেড হাসপাতালে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ৫ জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত ছাড়াও উপসর্গ নিয়ে সন্দেহভাজন আরো ৪ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। এখানে কর্মরত চিকিৎসক ও নার্সরা নিজেদের সুরক্ষার জন্য কার্যকরী পিপিই ও মাস্ক সরবরাহের দাবি জানিয়ে আসছিলেন বিশেষ এই ইউনিটটি চালুর পর থেকেই।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে করোনার ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার ল্যাব পিসিআর স্থাপনের পর গত ২০ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার ৭৫২জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ২৩জনের ফল পজিটিভ এসেছে।
ফমেক অধ্যক্ষ প্রফেসর এস এম খবিরুল ইসলাম জানান, আট দিনে ফরিদপুরের ৪১১জনের এবং গোপালগঞ্জ জেলার ৩৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয় যার মধ্যে ফরিদপুরের চার জনের এবং গোপালগঞ্জের ১৯ জনের ফল পজিটিভ এসেছে