• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই অক্টোবর, ২০২৪ ইং
আলোকিত ব্যক্তিত্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা শরীফ এম আফজাল হোসেন

স্মরণ:
আলোকিত ব্যক্তিত্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা শরীফ এম আফজাল হোসেন
মো. আবির হোসেন দিদার

মাতৃভূমির প্রতি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার কতখানি দ্বায়বদ্ধতা ও দেশপ্রেম থাকতে পারে তারই এক উজ্জল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন ফরিদপুরের কৃতি সন্তান মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন সংগঠক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শরীফ এম. আফজাল হোসেন তাঁর বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনে। তিনি একজন দেশপ্রেমী রাজনৈতিক, সফল ব্যবসায়ী নেতা এবং জনদরদি ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একজন আস্থাভাজন কর্মী ছিলেন। ষাটের দশকে যখন স্বাধিকারের আন্দোলনে উত্তাল এদেশের শিক্ষাঙ্গন, তখন তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যোগ দিয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি দেশের জন্য মেধা ও শ্রম দিয়ে কাজ করেছেন। ছাত্র রাজনীতিতে তিনি ছাত্র সংসদের ভিপি ছিলেন। ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু যখন স্বাধীনতার ডাক দিলেন তাঁর কালজয়ী সেই ঐতিহাসিক ভাষণে, তখন তিনি অস্ত্র হাতে প্রত্যক্ষভাবে যুদ্ধের ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়লেন সহযোদ্ধাদের সাথে। দীর্ঘ নয়মাসের রক্তক্ষয়ী মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মদানে অর্জিত লাল সবুজের পতাকার বিজয়ের পর এলো যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশ গড়ার পালা। এবার তিনি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে অস্ত্র জমা দিয়ে নামলেন অর্থনৈতিক মুক্তির নতুন লড়াইয়ে। নানা চড়াই-উতরাই পার হয়ে মাত্র দশ বছরের ব্যবধানে একে একে শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে একজন সফল শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী হলেন। এরপর তিনি নেতা হয়ে আরাম আয়েসের জীবন কাটাতে পারতেন। কিন্তু ছাত্রজীবনে রাজপথে থেকে দেশের জন্য কাজ করা মানুষটি; যিনি অনাহারে-অর্ধাহারে থেকে স্ব-শরীরে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন; বিত্তবিলাসের আয়েসী জীবন তাঁর কাছে দেশের সাথে বিশ্বাসঘাতকতারই নামান্তর ছিলো। এবার তিনি শুরু করলেন তাঁর আসল সংগ্রাম। এদেশের মেধাবী সন্তানেরা যেনো দেশের মাটিতেই আন্তর্জাতিক মানের উচ্চতর শিক্ষা অর্জন করতে পারে সেজন্য তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে নিবিষ্ট হলেন। ২০১৩ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন টাইমস ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। নিজের জেলা ফরিদপুরের সর্বপ্রথম ও একমাত্র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এটি। এই কঠোর পরিশ্রমী, উদ্যোমী ও অসম্ভব প্রাণবন্ত একজন পুরুষের কর্মব্যাপ্তির দিকে তাকিয়ে দেখতে পাই, স্বল্প আয়ুর জীবনের প্রতিটি ক্ষণের চুড়ান্ত সদ্ব্যবহার করে তিনি ইতিহাসের পাতায় একজন সফল কীর্তিমান হিসেবে এক উজ্জল নক্ষত্র হয়ে জ্বলজ্বল করছেন। এমন দেশপ্রেমী, মানবদরদি ও শিক্ষাঅন্তপ্রাণের কখনো মৃত্যু হয়না। তিনি অমর হয়ে বেঁচে থাকবেন তাঁর কর্মের মাধ্যমে।
১৯৫০ সালের পহেলা জানুয়ারি ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার খোদাবাসপুর গ্রামের সম্ভান্ত মুসলিম পরিবার ‘শরীফ বাড়ি’তে জন্মগ্রহণ করেন শরীফ এম. আফজাল হোসেন। পরিবারের একমাত্র সন্তান তিনি। তাঁর পিতা মরহুম মোহাম্মদ সদরউদ্দিন শরীফ ছিলেন একজন সামাজিক খ্যাতিসম্পন্ন জনদরদি ব্যক্তিত্ব। তাঁর মা মরহুম মোসাম্মৎ মোমেজান নেসা অত্যন্ত ধর্মপরায়ণ ও সাদা মনের মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বোয়ালমারীর বাইখির জমিদার আব্দুল আজিজ আজিজ মিয়ার নাতি বেগম সাখাওয়াত বানুর সাথে ১৯৭৪ সালে ২২শে নভেম্বর তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। শরীফ এম আফজাল হোসেন এর সহধর্মিণী বেগম সাখাওয়াত বানু শিক্ষাগত যোগ্যতায় ১৯৭৬ সালে মাস্টার্স অব কমার্স এম.কম একাউন্টটিং ১ম ব্যাচের ডিগ্রি লাভ করেন। বর্তমানে তিনি টাইমস ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান হিসেবে কর্মরত আছেন। তাদের একমাত্র কন্যা, সানজিদা রহমান রিমা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট থেকে অনার্স, মাস্টার্স পরিক্ষায় ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়ে কৃতিত্বের সাথে  উত্তীর্ণ হন এরপর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় এর মার্কেটিং বিভাগ থেকে  কৃতিত্বের সাথে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি শিক্ষিক হিসেবে নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন। বর্তমানে বে গ্রুপের ডাইরেক্ট হিসেবে কর্মরত আছেন। তাদের একমাত্র মেয়ের জামাই, জিয়াউর রহমান আহাদ এজামশান ইউনিভার্সিটি, থাইল্যান্ড থেকে বিবিএ ও আমেরিকার টেক্সাস ইউনিভার্সিটি থেকে কৃতিত্বের সাথে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করে দেশে ফিরে শিল্পপতি বাবার ব্যবসার সাথে যুক্ত হন। বর্তমানে তিনি দেশের রপ্তানি শিল্পের সাথে জড়িত একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি জিয়াউর রহমান আহাদ বে গ্রুপের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর হিসেবে কর্মরত আছেন। ফরিদপুরের রাজেন্দ্র কলেজের ছাত্র থাকাকালে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যোগ দেন। ১৯৬৬-৬৭ মেয়াদে তিনি রাজেন্দ্র কলেজের ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। এরপর উচ্চতর শিক্ষালাভের জন্য তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। এসময় তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সান্নিধ্য পান। ষাটের দশকে তিনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা হিসেবে শিক্ষা কমিশন আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও সত্তরের নির্বাচনেও তিনি আওয়ামী লীগের কর্মী হয়ে কাজ করেছেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় স্বাধীনতা সংগ্রামে তিনি অন্যতম একজন সংগঠক হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ, এলএলবি এবং জাপান থেকে টিসিসি ডিগ্রি লাভ করেন। নেদারল্যান্ডস থেকে এসসিসি এবং আমেরিকা থেকে আই.ভি.পি সার্টিফিকেট ছাড়াও তিনি সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড এবং মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আন্তর্জাতিক বিষয়ের উপর উচ্চতর শিক্ষা ও বিভিন্ন কোর্স সার্টিফিকেট অর্জন করেন।
মুক্তিযুদ্ধ থেকে ফিরে স্বাধীন দেশে প্রথম প্রজন্মের শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী হিসেবে তিনি দেশে শিল্প ও বাণিজ্য কোম্পানি স্থাপনের মাধ্যমে ব্যবসায়ী কর্মকান্ড শুরু করেন। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এর হাত ধরে মধুখালিতে সুগার মিল প্রতিষ্ঠায় শরীফ এম আফজাল হোসেন বিশেষভাবে অবদান রাখেন। তিনি দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ীক পরিমন্ডল তৈরি করেন। তিনি বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই), কানাডা বাংলাদেশ ইকোনোমিক ফ্রেন্ডশীপ, বাংলাদেশ স্পেশালাইজড টেক্সটাইল মিলস ও পাওয়ারলুম ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন, এপিও সোসাইটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সার্ভে এন্ড ভ্যালুয়েশন কোম্পানিজ, ফার্মস এন্ড ইন্ডিভিজ্যুয়াল কন্সার্নস অ্যাসোসিয়েশন, স্পেন-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, সেন্টার ফর ডেমোক্রেসি প্রাকটিস এন্ড হিউম্যান রাইট্স, ইকোনোমিক ফোরাম অব বাংলাদেশ, বৃহত্তর ফরিদপুর সমিতিসহ যৌথ উদ্যোগে গঠিত শিল্প এবং অন্যান্য স্থানীয় গ্রুপ অব কনসার্নসের চেয়ারম্যান ছিলেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা ও ফোরামের সাথে যুক্ত ছিলেন। সত্তরের দশকের শেষের দিকে তিনি ব্যবসায়িক নেতা হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। ১৯৮৭ সালে ভিয়েতনাম সরকারের আমন্ত্রণে ভিয়েতনামে বাণিজ্য দলের নেতৃত্ব দেন তিনি। ১৯৯১ সালে হংকং, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, কোরিয়া এবং জাপানে ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। ১৯৯২ সালে ইউরোপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় বাণিজ্য মিশনের নেতৃত্ব দেন। ১৯৯৩ এবং ১৯৯৭ সালে মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরে ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। ১৯৯৭ সালে জাপানে রাষ্ট্রীয় সফরের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৯৭ সালে ভারতে ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। কোরিয়ায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ১৯৯৮ সালে। একইবছর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের নিমন্ত্রণে ‘গ্লোবালাইজেশন বিজনেস এন্ড মার্কেটিং’ এর পরিদর্শক হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্য সফর করেন।  এবছরে তিনি কানাডা, মেক্সিকো ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের মধ্যে সম্পাদিত নাফটা চুক্তির মুক্ত বাণিজ্যের প্রভাব দেখতে মেক্সিকো যান। ১৯৯৯ সালে জাপানে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। তিনি বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালক ছিলেন। বিশ্ব ব্যাংক নিয়ন্ত্রিত বাংলাদেশ সরকারের একটি আর্থিক উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান আইডিসিওএল এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালকও ছিলেন। তিনি একজন বিশিষ্ট সংগঠক, লেখক, রিসার্স পার্সন, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং একজন সৎ, উদ্যোমী ও প্রাণবন্ত মানুষ হিসেবে সুনাম ও খ্যাতি অর্জন করেন।
বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ করে উচ্চতর শিক্ষা অর্জনে বেসরকারি সেক্টরের অবদান, শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি, সর্বোপরি শিক্ষার জন্য সুন্দর অবকাঠামো গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তিনি নর্দান কলেজ, ঢাকা এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, হার্ভার্ড ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল, ঢাকা এর পরিচালনা কমিটির গুরুত্বপর্র্ণ সদস্য, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্দান ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ এর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তিতে শরীফ এম. আফজাল হোসেন ২০১৩ সালের ১৬ই জুন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে ফরিদপুরে টাইমস ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ নামে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সম্মানিত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। নিজ জন্মস্থান খোদাবাসপুরে গ্রামীণ মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য তিনি উত্তরণ ক্লাব, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক চর্চা করার লক্ষ্যে তিনি অনুপ্রয়াশ নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। খোদাবাসপুর গ্রামে তিনি মোমেজাননেসা এতিমখানা ও মাদ্রাসা এবং বায়তুশ শরীফ জামে মসজিদ স্থাপন করেছেন।
বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের স্বীকৃতিস্বরুপ তাঁকে দেশবিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা পুরষ্কৃত করে। সমাজকল্যাণে অবদানের জন্য ২০০১ সালে তিনি কবি সুফি মোতাহার হোসেন একাডেমী স্বর্ণপদক পান। শিল্পাচারের জন্য ১৯৯৭ সালে পান নাজির স্বর্ণপদক। সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০০২ সালে তাকে নির্ণয় স্বর্ণপদক দেয়া হয়। এছাড়া আমেরিকার আইভিপি অ্যাওয়ার্ড, এশিয়ান প্রডাক্টিভিটি অরগানাইজেশন কর্তৃক বিশেষ সম্মাননা পদক, ডাব্লুআইপিও (জাতিসংঘের একটি সংস্থা) কর্তৃক বিশেষ সম্মাননা পদক সহ বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হন। জাতীয় গণমাধ্যম ডেইলি বাংলাদেশ অবজারভার, দ্যা ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস, দ্যা ইন্ডিপেন্ডেন্ট সহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখালেখি করতেন। তিনি বেশ কিছু বইপুস্তকও রচনা করেন। বিশ^ব্যাপী কোভিড-১৯ এর ক্রান্তিকালে গত বছরের ২০ ডিসেম্বর শরীফ এম আফজাল হোসেন করোনায় আক্রান্ত হলে তাকে ভর্তি করা হয় ঢাকার সিএমএইচ এ। সকলকে কাঁদিয়ে ২৯ ডিসেম্বর তিনি পাড়ি জমান না ফেরার দেশে। এই কর্মবীর ও শিক্ষাবান্ধব বীর মুক্তিযোদ্ধা শরীফ এম. আফজাল হোসেনের বিদেহী আত্মার শান্তি ও মাগফিরাত কামনা করছি।
লেখক: সহকারী রেজিস্ট্রার, টাইমস ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

অক্টোবর ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« সেপ্টেম্বর    
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।