• ঢাকা
  • শনিবার, ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা মে, ২০২৪ ইং
মৃতের গোছলে বরই পাতা দেয়া হয় কেন?

ছবি প্রতিকী

প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে’ -মহান আল্লাহ কুরআনুল কারিমের একাধিক আয়াতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মানুষের জীবনে যে ঘটনা সুনিশ্চিত ঘটবে, তা হলো ‘মৃত্যু’। আর ইসলামী ধর্ম মতে, মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেয়া ফরজে কিফায়া। এবং কেউ কেউ ওয়াজিব বলেছেন। তবে মৃতকে সঠিকভাবে গোসল দেয়ার বেশ কিছু পদ্ধতি রয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখ্য হলো কুল বা বড়ই পাতা ও সাবান মিশ্রিত হালকা গরম পানি দ্বারা মৃত ব্যক্তির মাথা ও দাড়ি ধৌত করা। কিন্তু কেন গরম পানির সাথে বরই পাতা মিশিয়ে গোসল করানো হয়? এর পেছনে কারণ কি?

ইসলাম ধর্ম মতে, মৃতের গোসলের পানিতে বড়ই বা কুলপাতা দেয়া শরীয়ত সম্মত একটা রীতি। অনেকে অবশ্য এটাকে ওয়াজিব বলে থাকে তবে এটা ওয়াজিব নয়। আলেমগণ হাদিসের নির্দেশকে মুস্তাহাব বলেছেন। কারণ কুলপাতা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য খুব কার্যকরী। কুলপাতা না পাওয়া গেলে সাবান বা এ জাতীয় কিছু ব্যবহার করাই যথেষ্ট।

ইসমাঈল ইবনে আবদুল্লাহ (রহ) উম্মে আতিয়্যা আনসারী রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কন্যা যায়নাব রা.-এর ইন্তিকাল হলে তিনি আমাদের কাছে এসে বললেন : ‘তোমরা তাকে তিন, পাঁচ প্রয়োজন মনে করে তার চাইতে অধিকবার বরই পাতাসহ পানি দিয়ে গোসল দাও।

শেষবার গোছলের পরে কর্পূর বা (তিনি বলেছেন) কিছু কর্পূর ব্যবহার করবে। তোমরা শেষ করে আমাকে জানাও। আমরা শেষ করার পর তাকে জানালাম। তখন তিনি তাঁর চাদরখানা আমাদের দিয়ে বললেন: ‘এটি তাঁর গায়ের সাথে জড়িয়ে দাও।’ (সুবাহানআল্লাহ)

বর্তমান আধুনিক বিজ্ঞান এই পদ্ধতির সাথে একমত প্রকাশ করেছে। বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় দেখেছে, বরই পাতায় রয়েছে বেশ কিছু এন্টিসেপটিক গুনাগুন। বরই পাতা পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে একধরনের আঁঠালো প্রাকৃতিক নির্যাস পানির সাথে মিশে যায়, যা মানব শরীরকে জীবানুমুক্ত করার একটি এন্টিসেপটিক হিসেবে দুর্দান্ত কাজ করে। যা প্রায় ১৪০০ বছর আগে আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা:) বলে গিয়েছিলেন।

সূত্র : ব্রেকিংনিউজ

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

মে ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« এপ্রিল    
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।