সনতচক্রবর্ত্তী :করোনাভাইরাস আতঙ্কে ফরিদপুর জেলার বসবাসকারী মানুষের মধ্যে মাস্ক এর ব্যবহার বেড়েছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশের সহ কয়েকটি প্রতিবেশী রাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়া ওমিক্রন ভাইরাস আতঙ্কে ফরিদপুর জেলারর বসবাসকারী মানুষের মধ্যে মাস্ক এর ব্যবহারের প্রবণতা বেড়েছে। ভাইরাসজনিত রোগটি প্রতিরোধের প্রাথমিক ব্যবস্থা হিসেবে স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে গণপরিবহণের মতো জনাকীর্ণ পরিবেশে অনেককেই মাস্ক ব্যবহার করতে দেখা গেছে।
মাস্কের মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষ বায়ুবাহিত ভাইরাস থেকে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করছেন। সাম্প্রতিক ওমিক্রন ভাইরাস সংক্রামিত হওয়ার মানুষকে বড়ই চিন্তিত করে তুলেছে। এর ফলে সবাই ব্যাপক আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। করোনাভাইরাসের ঢেউ সামাল দিতে কিছুটা কঠোর অবস্থান নিচ্ছে সরকার। মাস্ক ব্যবহারে কড়াকড়ি শুরু করার সুযোগ এর দাম বাড়িয়ে দ্বিগুণ করেছে ব্যবসায়ীরা। কিছুদিন আগেও সর্বত্র বেচাকেনা হওয়া সার্জিক্যাল মাস্ক এরই মধ্যে দ্বিগুণ দামে কিনতে হচ্ছে।
করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে সরকারের পক্ষ থেকে জনসাধারণের মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। দেশের সরকারি- বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে গ্রহণ করা হয়েছে ‘নো-মাস্ক নো-সার্ভিস’। মানুষকে মাস্ক পড়া ও স্বাস্থ্যবিধি পালনে বাধ্য করতে মাঠপর্যায়েও মাঝে মাঝে অভিযান চালাচ্ছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মাস্ক না পড়লে করা হচ্ছে জরিমানাও।
এ পরিস্থিতিতে ঘরের বাইরে বের হলে সঙ্গে একটি মাস্ক রাখছেন সবাই। এতে বাজারে মাস্কের চাহিদা ও বিক্রি দুটোই বেড়ে গেছে। এ সুযোগে সব ধরনের মাস্কের দাম আগের চেয়ে দ্বিগুণ হারে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ফরিদপুর জনতা ব্যাংক এলাকায় সুমনমৃধা নামে এক ব্যক্তির সাথে কথা হয় তার মুখে মাস্ক পরা। করোনাভাইরাসের জন্য নয়, ধুলাবালি থেকে মুক্তির জন্য আগে থেকেই মাস্ক ব্যবহার করেন বলে জানান তিনি।
গত মাসে এই মাস্ক কিনেছিলেন ১০ টাকায়। এখন মাস্কটি কিনেছেন ২০ টাকায়। কোর্ট এলাকায় থেকে এটি কিনেছেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আগে ধুলোবালির জন্য পরলেও এখন করোনা ভাইরাসের কারণে মাস্কের চাহিদা বেড়েছে। আর চাহিদা বাড়ার ফলে দামও বেড়েছে। এখন ওয়ানটাইম মাস্ক বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা করে পিস। কোথাও ১৫ টাকা ২০ টাকা। এইগুলোই বিক্রি হতো ৫ টাকায়।
চায়না মাস্ক, কয়েকদিন আগে যা ছিলো ৩০ টাকা পিস। তা এখন ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেশিরভাগ ওষুধের দোকানে চায়না মাস্ক পাওয়া যাচ্ছে না।