• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
ফরিদপুরে মা ইলিশ সংরক্ষণ ২০২০ উপলক্ষে প্রস্তুতিমুলক সভা

চলতি বছর ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ১৪ অক্টোবর থেকে ০৪ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ২২ দিন ইলিশ প্রজনন ক্ষেত্রে ইলিশসহ সব ধরনের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ থাকবে। এসময় দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, বিপণন, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, বিনিময় এবং মজুদও নিষিদ্ধ থাকবে।

রবিবার (৪ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২০ (১৪ অক্টোবর হতে ৪ নভেম্বর) উপলক্ষে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত “জেলা টাস্কফোর্স কমিটির” সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় ।

স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক মোঃ মনিরুজ্জামান, জেলা মৎস কর্মকর্তা মোঃ মনিরুল ইসলাম, জেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ নুরুল্লাহ মোঃ আহসান, সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা বিজন কুমার নন্দী, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি, র‌্যাব, নৌ-পুলিশ প্রতিনিধি এবং মৎস্য দপ্তরের জেলার বিভিন্ন উপজেলার কর্মকর্তাগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, “সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচির কারণে সাম্প্রতিক সময়ে ইলিশের যে সাফল্য এসেছে তা অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছে। দেশের সকল মানুষ এ কৃতিত্বের দাবীদার। আমাদের আন্তরিকতা, সততা, নিষ্ঠা এবং আইনের কঠোর প্রয়োগের কারণে এবছর ইলিশ আহরণে সাফল্য এসেছে। জাটকা সংরক্ষণ, মা ইলিশ সংরক্ষণ, অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠা, জাটকা নিধন বন্ধে কঠোর অবস্থান এবং মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকালীন অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে ইলিশের এ সাফল্য। ইলিশ উৎপাদনে অভাবনীয় সাফল্যের জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টার কোন বিকল্প নেই।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা বিলুপ্তপ্রায় মাছ ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে সাফল্য দেখাতে পারছি। বাঙালির নিজস্ব যে মাছ, তা আবার ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে আমাদের বিজ্ঞানীরা সফল হয়েছেন।”

দুবৃত্তায়ন রাষ্ট্রের উন্নয়নের পথে বাধা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের ছোট দেশে সীমিত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় দায়িত্ব পালনকারীরা সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। সে জায়গায় আমরা কোন প্রতিকূলতা বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবো না। যারা দেশের উন্নয়নের পথে বাধা, মৎস্য সম্পদের বিকাশের পথে বাধা, আমাদের পুষ্টি ও আমিষের দুর্জয় সাফল্যের পথে বাধা তাদেরকে কোনভাবে আমরা ছাড় দেবো না।

জেলা মৎস কর্মকর্তা জানান, ইলিশ আহরণ বন্ধ থাকা কালীন সরকার জেলার ২২৩৭ জন জেলে পরিবারকে ৪৪.৭৪ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে। আমরা ১৪ অক্টোবরের আগেই প্রতিটি জেলে পরিবারকে ২০ কেজি করে ভিজিএফ এর চাল দিয়ে দিবো। যাতে তাদের খাদ্যাভাব দুরীভুত হয়। তিনি এ সময় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত সকল সরকারি কর্মকর্তার নিকট মা ইলিশ রক্ষায় সহযোগীতা কামনা করেন।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।