হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুরে পৃথক দুটি ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় ডাকাতির সময় লুণ্ঠিত হওয়া মালামালও উদ্ধার করা হয়।
রবিবার (০৫ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শাহজাহান তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে একইদিন ভোর রাতে ঢাকার ডিমএমপি ক্যান্টনমেন্ট থানার মাস্টারটেক এলাকার গ্রীন ভেলি টাওয়ার নামক একটি ভাড়া বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন, খুলনার রুপসার ইলাইপুর এলাকার মজনু ফরাজির ছেলে রুবেল ফরাজী (৩০), পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের দক্ষিণ কাকরাবুনিয়া এলাকার আবুল কালামের ছেলে সোহেল রানা (৩৬), বাগেরহাটের মোরোলগঞ্জের সানকিভাংগা এলাকার আমির আলী শেখের ছেলে সোহাগ শেখ (২৫) ও খুলনার রুপসার দেয়াড়া এলাকার মোস্তফা হাওলাদারের ছেলে আলী হাওলাদার (৩০)।
এর মধ্যে রুবেল শেখের নামে দেশের বিভিন্ন থানায় ১২ টি ডাকাতি মামলা, সোহেল রানার নামে তিনটি ও সোহাগ শেখের নামেও তিনটি মামলা রয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতদলের সদস্যদের কাছে থেকে চারটি এলইডি টিভি, একটি প্রাইভেটকার, ৭টি এন্ডোয়েড মোবাইল, দুই সেট থ্রী-পিচ, একটি ডিজিটাল নিক্তি ও একটি টিটান মডেলের ঘড়ি উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশ সুপার মো. শাহজাহানের।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শাহজাহান বলেন, “গত ১৪ সেপ্টেম্বর ফরিদপুরের নগরকান্দার বিলগোবিন্দপুর এলাকায় একটি বিল্ডিংয়ের বেলকোনির গ্রীল কেটে ডাকাতি ও ২৮ সেপ্টেম্বর ফরিদপুর সদরের তাম্বুলখানা এলাকার এক কাতার প্রবাসী বাড়ির জানালার গ্রিল কেটে দুর্ধর্ষ ডাকাতি করে।”
পুলিশ সুপার জানান, “এরা প্রাইভেটকার নিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি করে আসছে। রাত ৩ টা থেকে রাত ৪টার মধ্যে সাধারণত তারা ডাকাতি করে থাকে।”
পুলিশ সুপার শাহজাহান দাবি করেন, “পুলিশের নানামুখী কৌশল ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের লুণ্ঠিত মালামালসহ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই।”
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মিজানুর রহমান বলেন, “গ্রেপ্তারকৃত ওই চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইমদাদ হুসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) শৈলেন চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সালাউদ্দিন, সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেল) মো. আসাদুজ্জামান শাকিল, কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম,এ জলিল উপস্থিত ছিলেন।