সুমন ভূইয়াঃ করোনায় শ্রমিকদের মজুরি ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে কোনো ধরণের অবহেলা না করার জন্য মালিক-কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় শ্রমিক জোট-বাংলাদেশের নেতারা।
বৃহস্পতিবার জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি ও শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের (স্কপ) অন্যতম নেতা সাইফুজ্জামান বাদশা এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও স্কপ যুগ্ম-সমন্বয়কারী নইমুল আহসান জুয়েলসহ কেন্দ্রীয় নেতারা এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানান।
শ্রমিক জোটের দফতর সম্পাদক রাজীব আহমেদের পাঠানো বিবৃতিতে নেতারা বলেন, করোনা মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত সংবেদনশীলতা নিয়ে গার্মেন্টসসহ রফতানিমুখি খাতের শ্রমিক কর্মচারীদের বেতনভাতার জন্য ইতোমধ্যে ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। সেই প্রণোদনার টাকা গামেন্টস মালিকরা শ্রমিকদের পূর্ণমজুরি প্রদান না করে ৬০ ভাগ প্রদানের চেষ্টা করছেন। মজুরি দেওয়া নিয়ে এই কৃত্রিম জটিলতা সৃষ্টি, কত শতাংশ মজুরি দেওয়া হবে তা নিয়ে বিতর্ক ও কালক্ষেপণ করায় শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিচ্ছে। এ অবস্থা নিরসনে শ্রমিকদের পূর্ণমজুরি ও ঝুঁকিভাতার দাবি জানান শ্রমিক জোট ও স্কপ নেতারা।
এদিকে নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সরকার সীমিত আকারে কারখানা চালুর কথা বললেও ব্যাপকভাবে কারখানা চালু ও স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি না মানায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা। নেতারা বলেন, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও সাভারে অসংখ্য গার্মেন্ট কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সেই সব শ্রমিকের মাধ্যমে কারখানার অন্য শ্রমিক, ঘনবসতিপূর্ণ শ্রমিকদের বসবাসের এলাকা ও সাধারণ মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে।
এদিকে করোনার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক, শহর ও গ্রামের সব ধরনের শ্রমিক-মজুর, রিকশা-ভ্যানচালক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, হকার, দোকান-কর্মচারীসহ সীমিত আয়ের মানুষের জন্য নানা সংকট তৈরি হয়েছে। নেতারা দাবি করেন, সব খাতের শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষাজালের আওতায় আনতে হবে। অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের কর্মহীন শ্রমিকদের জন্য রেশন ব্যবস্থা চালু করতে হবে। ক্ষেত্র বিশেষে বিনামূল্যে খাদ্য ও সুরক্ষাসামগ্রী সরবরাহ করার উদ্যোগ নিতে হবে।