নিজস্ব প্রতিবেদক :-
ফরিদপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযােদ্ধা লােকমান হােসেন মৃধার ১ম মত্যুবার্ষিকী ১০ জুলাই শনিবার । এ উপলক্ষে মসজিদে দােয়া এবং গরিবদের মাঝে খাবার বিতরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
গত বছরের এইদিনে করােনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকার একটি সরকারী হাসপাতালে মত্যুবরণ করেন তিনি। লোকমান হোসেন মৃধা ছাত্রজীবনে অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। তাঁর তারুণ্য কেটেছে দেশের জন্য আন্দােলন সংগ্রামে।
১৯৪৮ সালের ১ জানুয়ারী সদর উপজেলার চরমাধবদিয়া গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম মহিউদ্দিন মৃধার ঘরে জন্ম তাঁর। দুই ভাই একবোনের মধ্যে কনিষ্ঠ ছিলেন। পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তিলাভ করে কৃতিত্বের সাথে মেট্রিক পাশ করেন। ৬২’র শিক্ষা আন্দোলনের মাধ্যমে রাজনীতির শুরু। ৬৪ সালে রাজেন্দ্র কলেজে ছাত্রলীগের১১ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য হন। ৬৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে মাস্টার্সে প্রথম পার্ট পরীক্ষা দিয়ে ফিশারিজ ডিপার্টমেন্টের চাকরিতে যোগ দেন। ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান শুরু হলে পাকিস্তান এয়ারলাইন্সের একাউন্টস অফিসার পদের চাকরি ছেড়ে আন্দোলনে যুক্ত হন। মার্চে ফরিদপুর স্টেডিয়ামে মুক্তিযােদ্ধাদের প্রশিক্ষণে অংশ নিয়ে পরের মাসে সদরপুর ও নগরকান্দা হতে আরাে অন্য সঙ্গিদের সাথে ভারতের শান্তিনগর ক্যাম্পে চলে যান। আগষ্টে ফিরে এসে ফরিদপুরের চরাঞ্চলে মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন উপগ্রুপের সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করেন। ৭৩ সালে ফরিদপুরে যুবলীগের কমিটিতে তিনি জয়েন কনভেনার ছিলেন। ওই বছরেই ফরিদপুরের ময়েজউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেন। দীর্ঘ শিক্ষক জীবন শেষ করে ফরিদপুর উচ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে থাকাকালে ২০০৮ সালে অবসরে যান। ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হন। তিনি ফরিদপুর সাহিত্য ও সংস্কৃতি উনয়ন সংস্থার সভাপতি ছিলেন।