কোথায় কী করছেন ‘হোয়াটসঅ্যাপ’ তার খোঁজ রাখে
তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে মানুষ অনলাইনে কথা বলতে হোয়াটসঅ্যাপের ওপর অধিকাংশে নির্ভর করেন। অ্যাপটি অ্যান্ড-টু-অ্যান্ড এনক্রিপশনের দাবি করলেও তা নিয়ে নানা সময়ে বিতর্ক উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) ভাইস নিউজ তাদের একটি প্রতিবেদনে হোয়াটসঅ্যাপের কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরে জানিয়েছে, এসবের জন্য আপনার হোয়াটসঅ্যাপ ডিলিট করা উচিত।
হোয়াটসঅ্যাপ আপনার ফোন তালিকার সব নম্বর নিতে চায়। অ্যাপটি যখন ফোনলিস্টের অ্যাকসেস চায়, তখন আপনি চাইলেই প্রত্যাখ্যান করতে পারেন। কিন্তু মূল ঘটনা হলো, যতক্ষণ অ্যাকসেস না দেবেন, ততক্ষণ অ্যাপ আপনাকে সেটি স্মরণ করে দেবে। কিছু করতে গেলেই অ্যাকসেস চাইবে। তার মানে আপনাকে দিতেই হবে।
আপনি কখন, কোথায় কী করছেন-হোয়াটসঅ্যাপ তার সবই খোঁজ রাখে। আপনি কাকে কী মেসেজ পাঠাচ্ছেন, সেটি এখন তারা পড়তে পারে না। আনরিডেবল কোডে রূপান্তর করা থাকে, অর্থাৎ আপনি ছাড়া হোয়াটসঅ্যাপের কর্মীরাও আপনার মেসেজের কনটেন্ট জানতে পারেন না। কিন্তু সমস্যা হলো আপনি কার সঙ্গে কতবার চ্যাটিং করছেন, কখন করছেন সেসব তারা নোট করে।
আপনার তথ্য হোয়াটসঅ্যাপ পুলিশকেও দিতে পারে। অর্থাৎ আপনার নামে কোনো মামলা থাকলে পুলিশ যদি কর্তৃপক্ষের কাছে আপনার ডাটা চায়, তাহলে তারা দিতে পারবে।
হোয়াটসঅ্যাপ সবসময় দাবি করে, তাদের মেসেজ অপশন অ্যান্ড-টু-অ্যান্ড এনক্রিপশন। অর্থাৎ দুপক্ষের ব্যবহারকারী ছাড়া কেউ চ্যাটিং দেখতে পারবেন না। কিন্তু এই অ্যান্ড-টু-অ্যান্ড এনক্রিপশন ফিচারেও কিছুটা গলদ আছে। মাঝে মাঝে হোয়াটসঅ্যাপ ফিচারটি ব্রেক করে।
