বরগুনা, ২৪ আশ্বিন (৯ অক্টোবর) :
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, সকল ধর্মের অনুসারীদের কল্যাণে সরকার পর্যাপ্ত উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। তিনি বলেন, বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের চাহিদার আলোকে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। গত ১২ বছরে সরকারের গৃহীত এ সকল প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে, সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ধর্মীয় বিধি-বিধান, উৎসব ও অনুষ্ঠানাদি পালন সহজ ও উন্নত হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ বরগুনা জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণার আওতায় ‘আন্তঃধর্মীয় সংলাপ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার বৃহত্তর ধর্মীয় জনগোষ্ঠী মুসলমানদের কল্যাণে সারা দেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করছে। হজ ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন করে ডিজিটাল হজ ব্যবস্থাপনার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ওয়াকফ সম্পত্তির ব্যবস্থাপনাকে উন্নয়নের লক্ষ্যে সকল ওয়াকফ সম্পত্তির ডাটাবেজে করা হয়েছে। তিনি বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে হাজার হাজার আলেম-ওলামার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মসজিদভিত্তিক শিশু ও প্রাক-প্রথমিক শিক্ষার মাধ্যমে লাখ লাখ শিশুকে ধর্মীয় ও নৈতিকতা শিক্ষা দিয়ে উন্নত মানব সম্পদ তৈরি করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইমাম মুয়াজ্জিনদের কল্যাণে সরকার প্রয়োজনীয় অর্থ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। একইভাবে হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট এবং খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট এর মাধ্যমে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের কল্যাণে বহু সংখ্যক উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। মন্দির ও প্যাগোডা ভিত্তিক শিশু ও গণ শিক্ষা প্রকল্পের আওতায় লক্ষ লক্ষ শিশুকে নিজ নিজ ধর্মীয় ও নৈতিকতা শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে। মন্দির, প্যাগোডা, গির্জা, শ্মশান, সিমেট্রির সংস্কার ও উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অনুদান প্রদান করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) জালালুদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, শওকত হাচানুর রহমান, সুলতানা নাদিরা এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম আতিকুর রহমানসহ প্রমুখ। সভায় বরগুনা জেলার বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধি, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, পেশাজীবী শ্রেণির প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।