• ঢাকা
  • বুধবার, ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই মে, ২০২৪ ইং
করোনায় পুনঃসংক্রমণ নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই,বিজ্ঞানীদের মত

ছবি প্রতিকী

করোনাভাইরাস মহামারী সম্পর্কে সর্বাধিক মনোযোগ আকর্ষণকারী ভয়ংকর গল্পগুলো প্রায়ই ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে ঘটে থাকে। একজন ব্যক্তি দুবার সংক্রমিত হওয়া, একজন যুবক বা সুস্থ ব্যক্তির মারা যাওয়া, একজন বয়স্ক ব্যক্তি দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে সংক্রামক থাকা ইত্যাদি। আশঙ্কা হলো এ ঘটনাগুলো ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তবে সংক্রামক রোগ নিয়ে পড়াশোনা করা বিজ্ঞানীদের ভাষ্য, যেকোনো ভাইরাসেরই ব্যক্তি অনুযায়ী প্রভাব ভিন্ন হওয়া স্বাভাবিক।

মহামারীর গোড়ার দিকে লোকেরা প্রায়ই তাদের অভিজ্ঞতা কিংবা তাদের পরিচিত কারোর অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে রোগটিকে বর্ণনা করেছিল। কেউ কেউ বলেছিল, এটা কেবল সাধারণ ফ্লুর মতো ছিল। অন্যরা বলেছিল, এটা তাদের জন্য সবচেয়ে খারাপ ঘটনা ছিল। তারা উভয়ই ঠিক আছে। তবে এ অভিজ্ঞতাগুলোর অতিরিক্ত সরলীকরণ রোগের রাজনৈতিক মেরুকরণের দিকে নিয়ে যেতে পারে। এজন্য এটা করা উচিত নয়।

হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের ভ্যাকসিন গবেষক ড্যান বারোচ বলেন, ব্যক্তিভেদে সংক্রমণের মতো প্রতিরোধ প্রতিক্রিয়াগুলোরও বিস্তর বৈচিত্র্য রয়েছে। কখনো কখনো এ ভিন্ন প্রতিক্রিয়া বিভিন্ন জেনেটিকের কারণে হয় এবং কখনো কখনো এটা ভাইরাসের বিভিন্ন স্ট্রেইন থেকে আসে। কিছু ক্ষেত্রে এটা বিভিন্ন ভাইরাল ডোজ বা অন্যান্য ইমিউন প্যারামিটারের কারণে বা ডেমোগ্রাফিক ভেরিয়েবলের কারণেও হতে পারে।

তিনি বলেন, পুনরায় সংক্রমণের কয়েকটি ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে, তা নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন নই। এমনকি ডজনেরও বেশিসংখ্যক পুনরায় সংক্রমণের ঘটনা বিশ্বজুড়ে ঘটে যাওয়া কোটি কোটি সংক্রমণের তুলনায় খুবই নগণ্য।

দ্য ল্যানসেটের কেস স্টাডিতে বর্ণিত একটি উদাহরণে নেভাদার ২৫ বছর বয়সী একজন ব্যক্তি মার্চের শেষ দিকে ও পরে মে মাসে সংক্রমিত হয়েছিলেন। ভাইরাসটির জিনগত বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এটা একই সংক্রমণের প্রভাব নয়। যদিও দ্বিতীয়বার সংক্রমণের ঘটনাগুলো মৃদু ছিল। তবে তার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় সংক্রমণ আরো গুরুতর ছিল।

নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাইয়ের আইকাহন স্কুল অব মেডিসিন ইমিউনোলজিস্ট ফ্লোরিয়ান ক্র্যামার বলেন, এটা আশ্চর্যজনক কিছু নয়। ভাইরাসে সংক্রমিত বিভিন্ন মানুষের অ্যান্টিবডিগুলোর ঘনত্ব ঘড়ির ঘণ্টার কাঁটার মতো আচরণ করে। তাদের একটি সাধারণ প্রতিক্রিয়া রয়েছে, তবে প্রান্তের দিকে প্রচুর ব্যতিক্রম। কখনো কখনো গুরুতর সংক্রমণযুক্ত ব্যক্তিদের অত্যধিক অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। আবার কখনো কখনো এমন মানুষের উচ্চমাত্রায় অ্যান্টিবডি দেখা যায়, যাদের কোনো লক্ষণই থাকে না।

তিনি বলেন, কোটি কোটি মানুষ সংক্রমিত হওয়ার কারণে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে কয়েকজন দ্বিতীয়বারের মতো আক্রান্ত হবেন। হংকংয়ের বাইরে অন্য একটি ঘটনায়, চিকিৎসকরা প্রথম সংক্রমণের পরে একজন রোগীর কম অ্যান্টিবডির ঘনত্ব পরিমাপ করেছিলেন এবং দ্বিতীয়বার সংক্রমণে তার হালকা লক্ষণ দেখা দিয়েছিল।

ব্লুমবার্গ

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

মে ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« এপ্রিল    
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।