• ঢাকা
  • রবিবার, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে মে, ২০২৪ ইং
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ পরিবারে নগদ অর্থ, স্নাতক শিক্ষার্থী পাচ্ছেন উপবৃত্তি

সারা দেশে করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ হতদরিদ্র পরিবার পাচ্ছে আড়াই হাজার টাকা করে নগদ সহায়তা আর স্নাতক ও সমমান পর্যায়ের ২০১৯ সালে শিক্ষার্থীরা পাচ্ছেন উপবৃত্তি ও টিউশন ফি।

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গণভবন থেকে মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবার মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের হিসেবে সরাসরি নগদ অর্থ প্রেরণের এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। বিতরণ চলবে আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগ পর্যন্ত।

বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ভাসমান মানুষ এবং নিম্ন আয়ের মানুষ বিশেষ করে ঘাট শ্রমিক, রিকশাওয়ালা, নির্মাণ শ্রমিক, নরসুন্দর, চায়ের দোকানদার, কুলি মজুরসহ দিন আনে দিন খাওয়া যেসব মানুষের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে তাদের জন্য কিছু নগদ অর্থ সহায়তার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ৫০ লাখ পরিবারের মধ্যে এই সহায়তা প্রদান করছি। আগেই আমাদের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতায় বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতাসহ বিভিন্ন ভাতা ও ১০ টাকা কেজিতে চালের ব্যবস্থা করেছি। ওই সুবিধা যারা পাচ্ছেন তাদের বাইরে যারা বর্তমানে অসহায় হয়ে পড়েছেন তারাই কেবল এই সহায়তা পাবেন। এই লক্ষ্যে আমরা এক হাজার দুই শ কোটি টাকার ব্যবস্থা করেছি। এর আওতায় আড়াই হাজার টাকা করে এককালীন প্রত্যেক পরিবার পাবে। আর স্নাতক শিক্ষার্থীরা পাবে উপবৃত্তি ও টিউশন ফি।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, এই ক্ষেত্রে যাতে কোনো ঝামেলা না হয় তার জন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এই টাকা পৌঁছে দেব। এ কোনো বাড়তি চার্জও লাগবে না। আমরা জানি, সুবিধাপ্রাপ্তদের জন্য এটি বিশেষ কিছু নয়। তবু এখন রমজান মাস চলছে। সামনে ঈদ। এই সময় আপনাদেরকে যে কিছু দিলাম, এটিই সান্ত্বনা।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় আহত মুক্তিযোদ্ধা, নির্যাতিত মা-বোনদের সহযোগিতা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কোনো যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশই এ অবস্থায় এত সহজে কেউ ঐক্যবদ্ধ করতে পারেননি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশে অগ্রগতি থেমে গিয়েছিল।

তিনি বলেন, আমরা ২১ বছর পর ক্ষমতায় আসার পর আবার বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি শুরু হয়। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের দায়িত্বভার যখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিয়েছিলেন তখন কোনো সঞ্চয় ছিল না, ব্যাংকে কোনো জামানতও ছিল না।

বঙ্গবন্ধু মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছিলেন। এমন কিছু ছিল না, যা রিলিফে দেয়া হয়নি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যখন ক্ষমতায় আসে বাংলাদেশে তখন মঙ্গা থাকে না, দরিদ্র থাকে না, এটা আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি

সবাইকে ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের ক্ষুধার জ্বালা আমরা বুঝি। এ জন্য অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ব্যবস্থা করতে হবে, চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। করোনার মতো এমন একটি অদৃশ্য শক্তিকে কিন্তু মোকাবিলা করতে পারছে না কোনো দেশই। কিন্তু আপনারা ধৈর্য হারাবেন না। বর্তমান চলমান পরিস্থিতি থেকে আমরা মুক্তি পাব ইনশাআল্লাহ।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

মে ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« এপ্রিল    
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।