বৈশ্বিক করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে মানুষের পাশাপাশি কথা বলতে না পারা অবলা প্রাণী গুলো সব থেকে বেশি বিপাকে পড়ে রয়েছে। বাসা-বাড়ি, দোকান-পাট, জাতীয় উদ্যান গুলো, চিরিয়াখানা গুুলো বন্ধ থাকার কারণে প্রাণীগুলো পড়েছে খাদ্য সংকটে।
দিনাজপুরের সদর উপজেলার তাজপুর গ্রামে অবস্থিত রামসাগর দিঘি। এটি বাংলাদেশের মধ্যে মানুষের তৈরি সবচেয়ে বড় দিঘি।রামসাগরের আয়তন ৪,৩৭,৪৯২ বর্গমিটার, দৈর্ঘ্য ১,০৩১ মিটার ও প্রস্থ ৩৬৪ মিটার। গভীরতা গড়ে প্রায় ১০ মিটার। পাড়ের উচ্চতা ১৩.৫ মিটার। দীঘিটির পশ্চিম পাড়ের মধ্যখানে একটি ঘাট ছিল যার কিছু অবশিষ্ট এখনও রয়েছে। বিভিন্ন আকৃতির বেলেপাথর স্ল্যাব দ্বারা নির্মিত ঘাটটির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ছিল যথাক্রমে ৪৫.৮ মিটার এবং ১৮.৩ মিটার। দীঘিটির পাড়গুলো প্রতিটি ১০.৭৫ মিটার উঁচু।
রামসাগর জাতীয় উদ্যানে রয়েছে একটি মিনি চিড়িয়াখানা। যেখানে অজগর, বানর এবং কিছু হরিণ সহ বিভিন্ন প্রাণী স্থান পেয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারনে এই সব প্রাণরা খাদ্য সংকটে পরে রয়েছে খবর পেয়ে মাহামুদুল হাসান মানিক, বিমল আগড়ওয়াল ও রেজাউল রহমান রেজু এর নের্তৃত্বে এই সমস্থ প্রাণীদের খোজ-খবর নিতে ও কিছু খাদ্য সামগ্রী নিয়ে রামসাগর জাতীয় উদ্যানে হাজির হোন দিনাজপুর সেচ্ছাসেবী সংগঠনের আবুকালম আজাদ, আফাসানা আফরোজ ইমু ও তার টিম।
জানতে চাইলে ইমু জানান, করোনা ভাইরাসের লগডাউনের কারনে রামসাগরে হরিণ আর যে গুলি পশুর পাখি আছে তাদের ঠিক মতো খাওয়া পাচ্ছিলো না। এদের খাওয়ানোর দায়িত্বে যিনি আছেন সেই কন্টাকটারের বাসা রাজশাহী তে। এই কারনে এই পশু পাখিরা ঠিকমতো খাওয়া পাচ্ছিলোনা।এই বিষয়টি আমরা পেপারের মাধ্যমে যানতে পারি। তখন আমার মানিক দাদুভাই কালাম আজাদ দাদু ভাই বিমল দা সবাই চেষ্টা করে বনবিভাগ এর লোকের সাথে কথা বলে এই পশুদের খাবার ঠিক মতো দেওয়ার ব্যবস্থা করে ফেলি। আজ আমরা দেখতে গিয়েছিলাম কিছু খাবার নিয়ে আসলে ঠিক মতো তারা খাবার পাচ্ছে কি না। দেখলাম এখন তারা ঠিকমতো খাবার পাচ্ছে। তবে আমরা মাঝে মাঝে তাদেরকে দেখতে যাবো।
এ সময় সেচ্ছাসেবী সংগঠনের টিমের মধ্যে উপস্থিতি ছিলেন, রাকিবুল, রনি, জিম, সন্ধ্যা,
মায়া প্রমুখ।