• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
কুষ্টিয়ায় যৌন নির্যাতনের শিকার ১১ বছরের নাবালিকা!

ঘটনা ধামাচাপা দিতে ধর্ষকের সাথে বিয়ের চেষ্টা

প্রায় রাতেই সরল মনে খালার বাড়িতে যেত ১১ বছরের নাবালিকা। যুবক খালাত ভাই প্রায় রাতেই তার উপর যৌন নির্যাতন চালাত। নাবালিকার বুদ্ধি কম। সবকিছু ভাল বোঝে না। এই সুযোগে খালাত ভাই তার উপর যৌননির্যাতন চালিয়ে আসছে। খালুর ভক্ত ছেলেও তার উপর যৌন নির্যাতন চালায়। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউপি’র রাতুলপাড়া গ্রামের ক্যানেল পাড়ায় লাগাতার এই যৌননির্যাতনের শিকার হয়েছে ওই ৪র্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া নাবালিকা।

জানা গেছে, এক পাড়ায় বাড়ি হওয়ায় ভাইরাভাই স্থানীয় আবু তালেব সাধুর বাড়িতে প্রায় রাতেই থাকতে পাঠাত শিশু কন্যার বাবা। আবু তালেবের কোন মেয়ে নাই এ কারনে সেই দাবী করতো মেয়েকে তার বাড়িতে রাখতে। এভাবে কিছুদিন থাকার পর তালেব সাধুর যুবক ছেলে মেয়ের আপন খালাতো ভাই মাছুদ ও তার বন্ধু সুজনের লালসার শিকার হয় মেয়েটি। ছেলে মাছুদ ও তালেব সাধুর ভক্ত ছেলে পান্টি এলাকার বাসিন্দা সুজন প্রায় ৬ মাস ধরে এই শিশু কন্যাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভিতি দেখিয়ে পালাক্রমে যৌন নির্যাতন করে আসছে। তাদের ভয়ে মেয়েটি তার পিতা মাতার কাছে কখনো বলতে সাহস পায়নি।
শিশুর মা জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমার আপন বোন ও তার স্বামী আবু তালেব এবং ছেলে মাছুদ প্রায় প্রতিদিনই মেয়েকে দিনের বেলাতে ডেকে নিয়ে যেত তার বাড়ীতে বিভিন্ন কাজ কর্মের অজুহাত দেখিয়ে। তখন আমি কিছুই বুঝতে পারি নাই যে আমার বোন আমার মেয়েকে ছেলেকে দিয়ে ধর্ষন করাচ্ছে। বুঝতে পারলাম গত ৫দিন আগে। কারণ গত ৪ দিন আগে সন্ধ্যার পর আমার বোনের ছেলে মাছুদ বাড়ীতে এসে বলে মা পাঠিয়েছে আজ ভাল রান্না হয়েছে ওকে খাওয়াবে তাই নিতে এসেছি এবং রাতে আমাদের ওখানে খাকবে। আমি না করি নাই কারণ আমার বোনের কোন মেয়ে নেই শুধু একটি মাত্র ছেলে মাছুদই আছে। আর সহ্য করতে না পেরে পরদিন সকালে এসে মেয়ে আমাকে সব খুলে বলে। আমি বিচারের আশায় দারে দারে ঘুরছি কেউ আমার বিচার করে দিচ্ছেনা বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে নাবালিকা মেয়ের সাথে সরাসরি কথা বললে তিনি বলেন, আমাকে প্রায় ৬ মাস ধরে কখনো মাছুদ কখনো খালা এসে দিনের বেলাতে আমাকে তাদের বাড়ীতে ডেকে নিয়ে যেত। খালাত ভাই মাছুদ আমাকে ঘরে নিয়ে গিয়ে খারাপ কাজ করতো। খালার বাড়ীতে আসা পান্টি এলাকার সুজনও খারাপ কাজ করতো। কিন্তু তার আগে আমাকে বিভিন্ন বড়ি খাওয়ায়ে দিত এ বিষয়ে আমি কিছুই বুঝতাম না। কিন্ত গত চার দিন আগে রাতে ডেকে নিয়ে গিয়ে আমাকে বড়ি খাওয়ায়ে রাতভর সুজন ও মাছুদ একাধিকবার খারাপ কাজ করলে আমার শরীর খারাপ হওয়ায় সকালে খালার বাড়ী থেকে চলে এসে আমার মাকে সব খুলে বলি। মেয়ে এটাও বলে আমার খালু আবু তালেবও আমাকে প্রস্তাব দিয়েছিল ঐ কাজটা করার জন্য। কিন্ত আমি রাজি হয় নি। এ বিষয়টি নিয়ে উক্ত এলাকাতে গুঞ্জন শুরু হলে ঘটনা ধামাচাপা দিতে মাসুদের সাথে ওই নাবালিকার বিয়ের তোড়জোড় শুরু করেন।
এতে রাজি নন মেয়ের বাবা মা। তারা এর বিচার দাবী করেন। তবে থেমে নেই তালেব। সে নানা ধরনের কথা বলে মেয়ের পরিবারকে বিয়ের জন্য রাজি করানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। এতে এলাকার মন্ডলদেরও তিনি কাজে লাগাচ্ছেন। মেয়ের ভবিষ্যৎ নষ্ট হবে বলে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে। নিজে বাচতে তালেব মরিয়া হয়ে উঠে পড়ে লেগেছে তড়িঘড়ি করে ছেলের সাথে ওই মেয়ের বিয়ে দেবার জন্য।
আবু তালেব’র সাথে কথা হলে ফোনে তিনি অভিযোগ স্বীকার করেন এবং এটাও বলেন এ বিষয়ে লিখালেখি না করার জন্য। এই আবু তালেব যে একজন অসৎ চরিত্রের ব্যক্তি তা এলাকাবাসী সকলেই জানেন। তিনি সাধু ছদ্দবেশ ধরে দীর্ঘদিন বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে করে যাচ্ছেন সাধু সেবার নামে। তার কাছে বিভিন্ন শ্রেণীর লোকজন আসত শুধু মেয়েলি ব্যবসার জন্য। এছাড়াও বালিয়াপাড়া, রাতুলপাড়া ও ভবানীপুরের কিছু গণ্যমাণ্য ব্যক্তিদের নামও উঠে এসেছে এই মেয়েলি ব্যবসায়ের সাথে।
এ বিষয়ে ভূক্তভোগী মেয়ের মা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করে, আবু তালেব ও তার স্ত্রী, ছেলে মাছুদ ও সুজনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।