এ বছর হচ্ছে না বাংলাদেশ গেমস। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আগামী মার্চে জাঁকজমকভাবেই বাংলাদেশ গেমস আয়োজনের পরিকল্পনা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের। জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ জাহিদ আহসান রাসেল।
এছাড়াও শিগগিরই ৫৩টি ফেডারেশন ও অ্যসোসিয়েশনের অ্যাথলিটদের মাঝে ৭০ লাখ টাকা অনুদান দেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
মুজিববর্ষের বিশেষ বাংলাদেশ গেমস নিয়ে ক্রীড়াঙ্গনের আগ্রহ তুঙ্গে ছিল। এপ্রিলে একত্রিত হবার কথা ছিল প্রায় ১০ হাজার অ্যাথলিটের। কিন্তু করোনার কারণে তা বছরের শেষ দিকে আয়োজনের প্রস্তাব আসে।
শীতে মহামারি করোনার দ্বিতীয় ধাপের শঙ্কায় আবারও আসর নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। অবশেষে জানা গেল, এ বছর হচ্ছেনা বাংলাদেশ গেমস। আগামী মার্চে আসর আয়োজনের আশা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের। তবে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে সেখানেও রয়েছে শঙ্কা।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, আমরা বারবার চেষ্টা করেছি বাংলাদেশ গেমস করার। কিন্তু করোনার কারণে বারবার পিছিয়ে গেছি। আগামী বছরের মার্চে গেমস করার প্রস্তুতি নিয়ে আমরা এগোচ্ছি। পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকলে সেটি হয়তো আগামী ডিসেম্বরে করা হবে।
আর্থিক সংকটের কারণে আর্চারি ও শ্যুটিং ফেডারেশন ছাড়া বড় পরিসরে অনুশীলন ক্যাম্প করতে পারছে না আর কোনো ফেডারেশন। সংকট উৎরাতে ১ হাজার খেলোয়াড়কে দেয়া হবে আর্থিক অনুদান।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, খেলোয়াড়দের আর্থিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে এবছরই ১ হাজার অ্যাথলিটকে ৭ হাজার টাকা করে মোট ৭০ লাখ টাকা দেয়া হবে। এটা আরও বাড়তে পারে, তবে কমবেনা।
ইনডোর গেমসগুলোর জন্য একটা পূর্ণাঙ্গ কমপ্লেক্স বহু দিনের দাবি। পূর্বাচলে একই ছাদের নিচে সেই দাবি বাস্তবায়নের পথে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।