জিল্লুর রহমান রাসেল, স্টাফ রিপোর্টার
ফরিদপুরে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ৩ হাজার ৯৯৩ জন বিদেশ ফেরত যাত্রীর তালিকা নিয়ে মাঠে নেমেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। যাদের স্ব উদ্যোগে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা থাকলেও তারা সে নির্দেশ মানছেন না।
গত ১ মার্চ হতে ১৫ মার্চ পর্যন্ত এরা বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে এসেছেন যাদের ৯০ ভাগই ভারত থেকে দেশে এসেছেন বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মাহমুদ হোসেন। এসব বিদেশ ফেরত লোকদের খুঁজে খুঁজে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফরিদপুরের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার জানান, ইমিগ্রেশন পুলিশের তরফ হতে ফরিদপুরের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিকট এ তালিকা সরবরাহ করা হয়েছে। এদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার নির্দেশনা রয়েছে।
জেলা প্রশাসক করোনা নিয়ে আতঙ্ক না ছড়িয়ে যার যার অবস্থান হতে সকলকে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান, ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ছিদ্দীকুর রহমান, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক সাইফুর রহমান, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক এএসএম আলী আহসান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কার্তিক চক্রবর্তী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।
ওই সভায়, বিদেশ ফেরত ব্যাক্তিদের হোম কোয়ারেন্টাইন করার জন্য পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
এদিকে, বুধবার সকালে যোগাযোগ করা হলে সিভিল সার্জন ছিদ্দীকুর রহমান জানান, জেলায় এখন পর্যন্ত ২২ জন বিদেশ ফেরত যাত্রী স্ব উদ্যোগী হয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করেছেন।
যারা সকলেই নিজ উদ্যোগেই হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। এদের মধ্যে শহরের ঝিলটুলীর তিনজন ইতিমধ্যে সংক্রমন ঝুঁকির সময়সীমা অতিক্রম করায় তাদেরকে মুক্তভাবে চলাফেরার অনুমতি দেয়া হয়েছে। জেলা শহরের বাইরে এখন পর্যন্ত চরভদ্রাসনে ১০ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন বলে তিনি জানান।
গত ২৫ জানুয়রি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা উপসর্গের রোগীদের চিকিৎসার জন্য একটি ওয়ার্ড খোলা হয়েছে। ওই ওয়ার্ডে পাঁচটি শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
চিকিৎসার সবচেয়ে বেশি সুযোগ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বরাদ্দ দেওয়া হলেও জ্বর কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে কোন রোগী ফরিদপুরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এলেও তাকে ভর্তি করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত মঙ্গলবার রাতে এসব উপসর্গ নিয়ে এক রোগী ওই হাসাপাতালে গেলে তাকে ভর্তি করা হয়নি। হাসপাতাল থাকে তাকে ঢাকা যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। পরে ওই রোগী ফরিদপুরের সিভিল সার্জনের মাধ্যমে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন।
আরও পড়ুন ঃভাঙ্গায় কোচিং বানিজ্যতেই কোটিপতি আমানত মাষ্টার
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক সাইফুর রহমান বলেন, এ জাতীয় রোগী এলে তাদের ভর্তি তো না করার কথা নয়। বিষয়টি আমার পর্যন্ত আসেনি। আমি এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখবো। গত ২৫ জানুয়ারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ ওয়ার্ডটি খোলা হলেও এখন পর্যন্ত কোন রোগী ভর্তি হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।