বর্ষার সময় মাঝেমধ্যেই বৃষ্টি হওয়ার দরুন একটা স্যাঁতসেঁতে ভাব থাকে। স্যাঁতস্যাঁতে ভাবের প্রভাব পড়ে ঘরের মধ্যে থাকা আপনার আলমারিটিতেও। বন্ধ আলমারির ভিতরে থাকা জামা কাপড় অন্যান্য জিনিসের এই স্যাঁতস্যাঁতে ভাবে প্রভাব পড়ে। কারণ বাইরের স্যাঁতস্যাঁতে প্রভাব অনেক সময় আলমারির ভিতরে থাবা বসায়। বিশেষত যদি আলমারির ভিতরে ব্যাগ বেল্টের মতো চামড়া জিনিস থাকে তো কথাই নেই । তাই ঘরের চারপাশের পাশাপাশি আলমারির ভিতরটা যত্ন নেওয়া দরকার।
প্রথমেই দেখে নিতে হবে আলমারির ভিতরে কোনরকম ভিজে ভিজে ভাব থাকছে কি না। তাহলে ছত্রাক বাসা বাধলে আলমারির ভিতরে থাকা জামা কাপড় জিনিসপত্র নিচে নামিয়ে তা শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে ফেলতে হবে। ভেজা ভাব পুরোপুরি চলে গেলে আবার সেগুলোকে গুছিয়ে ঢুকিয়ে দিতে হবে। আগেকার দিনে ঠাকুরমা দিদিমারা যেমন কাগজ বিছিয়ে তার উপর জামাকাপড় গুছিয়ে রাখতেন সেই পদ্ধতি কার্যকর হবে।
আ
ছত্রাক বাসা বাঁধার পাশাপাশি এই সময় আরেকটা সমস্যা হল বদ্ধ আলমারিতে থাকায় বিকট গন্ধ হয়ে যায় জামাকাপড়ে। তাছাড়া এই সময় পোকামাকড়ের অবাধ বিচরণ শুরু হয় জামা কাপড়ের ভাঁজে। তাই ওই ভ্যপসা ভাব ও পোকামাকড়দের থেকে রক্ষা করতে আলমারিতে এদিক-ওদিক ন্যাপথলিন ছড়িয়ে দেওয়া দরকার। শুকনো নিমপাতা এই ক্ষেত্রে ভালো দাওয়াই।
তাছাড়া শাড়ির ভাঁজে ভাঁজে যাতে ফাস না ধরে কিংবা ছিড়ে না যায় তার জন্য মাঝে মাঝে আলমারি ওলট-পালট করে গোছানো দরকার। যদি শাড়ি এবং অন্যান্য জামাকাপড় হ্যাঙ্গারে ঝোলানো যায় তাহলে অনেকটা জায়গা পাবে। চামড়ার জুতো বেল্ট ব্যাগ ইত্যাদি আলমারিতে ঢোকানোর আগে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে হেয়ার ড্রায়ার স্প্রে করলে ভালো হয় কারন তাতে ঘাম বা ভিজে ভাবটা চলে যায়।