রাজশাহীতে পদ্মার চরে বাদাম চাষ করে লাভবান হচ্ছে কৃষক। পবা উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের চর মাজারদিয়াড় ও হরিয়ান ইউনিয়নের কৃষকরা বাদাম চাষ করে আসছেন।
যেখানে আগে বিঘা প্রতি ৩ থেকে ৪ মন হারে বাদাম ফলন হতো। তবে এবার বিএমডিএর প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নত জাতের বীজ পাওয়ায় ফলন হয়েছে বিঘা প্রতি ৮ থেকে ৯ মন। যা গত বছরের তুলনায় বিঘা প্রতি কৃষকদের লাভ হয়েছে ১৫ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
পবা উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের চর মাজারদিয়াড়ের কৃষক শহীদ আলী, মতিউর রহমান, আলম, রমজান আলী, আব্দুর রাজ্জাক, সিরাজুল ইসলাম, গাফ্ফার আলী, শামসুদ্দীন, নাজিম উদ্দিন জানান, তারা প্রকল্পের মাধ্যমে বাদাম চাষ করে লাভবান হয়েছে ।
এবিষয়ে রাজশাহী রিজিয়নের নির্বাহী প্রকৌশলী শরীফুল হক জানান, বিএমডিএর প্রকল্পের মাধ্যমে চরাঞ্চলের কৃষকদের উন্নত জাতের বাদাম বীজ সরবরাহ করা হয়েছে। ফলে বাদাম চাষ করে তারা লাভবান হয়েছে । পদ্মার চরের মানুষের বিশেষ করে কৃষকদের পুষ্টি নিরাপত্তা ও তাদের উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্পও গ্রহণ করা হয়েছে ।
বরেন্দ্র বহুমুখি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরেন্দ্র অঞ্চলের পদ্মার চরসহ অন্যান্য চরগুলিতে কম পানি গ্রহণকারী এবং হাই ভ্যলু ফসল বাদাম উৎপাদন করার জন্য তাকে নির্দেশনা দিয়েছেন । বিএমডিএ’র মাধ্যমে তাকে এই লক্ষ্যে কাজ করতে বলেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সেই নির্দেশনাকে বাস্তবায়ন করতে বিএমডিএ’র উদ্যোগে রাজশাহীর পবা উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের চর মাজারদিয়ার চাষীদের মাঝে পরীক্ষামূলকভাবে বীজ বাদাম উৎপাদনের উদ্যোগগ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এর বিজ্ঞানীদের সহযোগিতা নিয়ে বান্দরবন থেকে বাদামের বীজ কিনে এবং জামালপুরের বাদাম বিজ্ঞানীদের দেয়া বীজ সংগ্রহ করে চরের কৃষকদের মাঝে উন্নত জাতের বাদাম বীজ সরবরাহ করা হয়েছে। এখন চরে বাদাম উৎপাদনের মাধ্যমে চরের দরিদ্র কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে।’