বিজয় পোদ্দার, ফরিদপুর :
ফরিদপুরের পদ্মা নদী পাড়ের বাসিন্দারা দীর্ঘকাল ধরে নানা দুর্যোগ মোকাবেলা করে জীবন যাপন করে আসছে। ঘূর্ণিঝড়, নদী ভাঙ্গন, খড়াসহ নানা দুর্যোগের সাথে লড়াই সংগ্রাম করে বেঁচে থাকা মানুষের জনপদ চরাঞ্চল। ফরিদপুর ডিক্রির চর ইউনিয়নের আইজুদ্দিন মাতুব্বর ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা আলমাস ফকির (৪৫) দীর্ঘদিন ধরে পশু লালন পালনে কাজ করছেন। ভাল পশু পালনের কারনে বেশ পরিচিত হয়েছেন।
গত ২০ বছর ধরে তিনি মাহিম ড্রেইরী ফার্ম এর নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। প্রথম দিকে এক দুটো গরু নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে তার ফার্মে পাঁচ ছয়টি দেশের উন্নত মানের ষাঁড় রয়েছে। উন্নয় মানের বেশ কিছু ছাগলও তিনি গড়ে তুলেছেন। আগামীতে গাভি সংক্রান্ত প্রকল্প গ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে তার। তিনি জানান, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভিশন পরিশ্রম করে তিনি বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানটিতে একটু উন্নত করেছেন। প্রত্যেকটি গরুর প্রতি তার মায়াও রয়েছে। গরু গুলো তাকে দেখলে তার কাছে ছুটে আসে। তিনি গা সাপটে তাদের আদর করেন। প্রতি বছর তার কয়েক লক্ষ টাকা আয়ও হয় এই ফার্ম থেকে বর্তমানে করোনা পরিস্থিতে কিছুটা দুর্বল হলেও আগামী কোরবানীকে সামনে রেখে তিনি সুস্থ্য পশু মানুষের কাছে তুলে দিয়ে স্বাস্থ্য সম্মত আয়ের পথ তৈরী করছেন।
তিনি বলেন, অনেকেই নানা ঔষধ ব্যবহার করে পশু মোটা তাজা করে যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকী। কিন্তু আমি একেবারে সাধারণ উপায়ে গ্রামীণ পরিবেশে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপালসহ কয়েকটি দেশের ষাঁড় বড় করেছি দেখলে যে কারো চোখ জুড়িয়ে যাবে। আগামী পরিকল্পনা কি? জানতে চাইলে বলেন, স্বাস্থ্য সম্মত ষাঁড় আর বেশি দুধ দিতে পারে এমন গাভী তৈরী করা। সাথে সাথে ছাগল পালনের প্রকল্পটি আরও বড় করা। সরকারি কোন সহযোগীতা পেয়েছেন কি না? সে প্রশ্নে বলেন চেষ্টা করছি এখনও কোন সহযোগীতা পাইনি।