ডেস্ক রিপোর্ট :- ফরিদপুরের মধুখালীতে মা-মেয়ের চক্রান্তে এক সন্তানের জননী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে ওই গৃহবধূকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, মধুখালী পৌর এলাকার আশ্রায়ন কেন্দ্রে বসবাস করেন পারুল আক্তার ও তার মেয়ে রোজিনা। পার্শ্ববর্তী গ্রামের ভুক্তভোগী গৃহবধূ রোজিনার বান্ধবী। তার তিন বছরের একটি সন্তান রয়েছে। কয়েকদিন আগে গৃহবধূ পিতার বাড়িতে বেড়াতে আসে। বাড়িতে আসার পরই রোজিনা ওই বাড়ি গিয়ে দুই বান্ধবী মিলে নানান গল্প গুজব করে।
রবিবার (১১ এপ্রিল) রোজিনা ও তার মা পারুল সহ কয়েকজন ওই মেয়েটির বাড়িতে যায়। ওই বাড়িতে গিয়ে বিভিন্ন গল্প গুজব করে চলে আসেন। কিছুক্ষণ পরে রোজিনা ওই বাড়িতে গিয়ে বলে তোদের বাড়িতে মোবাইল ফেলে গেছি, মোবাইলটি দে। কিন্তু ওই মেয়েটি বলে মোবাইল এখানে রেখে যাসনি। বিষয়টি নিয়ে দুজনের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে রোজিনা ওই বাড়ি থেকে চলে আসে। এরপর বিকালে রোজিনা ও তার মা পারুল কয়েকজন লোক সাথে নিয়ে ওই মেয়েটিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আসে। এরপর দুই দিন পর মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সকালে মেয়েটিকে অচেতন অবস্থায় তাদের বাড়িতে ফেলে রেখে আসে।
ভূক্তভোগী ওই গৃহবধূ এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মাঝে মধ্যে জ্ঞান ফিরে আসছে। কিছুটা সময়ের জন্য জ্ঞান ফিরে পেলে কথা হয় সাংবাদিকদের সাথে। তিনি জানান, মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে রোজিনা ও তার মা পারুল আমার সবকিছু শেষ করে দিয়েছে। রবিবার বিকালে তাকে তুলে নিয়ে বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর এলাকার একটি বাড়িতে রাখে। রাতে খাবারের সাথে কিছু খাওয়ানো হয়। এরপর জোড়পূর্বক একের পর এক ধর্ষণ করে তাকে।
গৃহবধূর পিতা জানান, কয়েকদিন আগে মেয়েকে তার শ্বশুর বাড়ি থেকে আমার বাড়িতে নিয়ে আসি। এরপরই এরকম ঘটনা ঘটলো। রোজিনা ও তার মা পারুল এর আগেও অনেক মেয়ের জীবন শেষ করে দিয়েছে।
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আব্দুর রহমান ফিরোজ জানান, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা মেয়েটির চিকিৎসা করছেন। সন্ধ্যায় ফরেনসিক বিভাগে পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। সেখান থেকে ওসিসি সেন্টারে পাঠানো হতে পারে। তিনি আরো জানান, পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পেলেই বিস্তারিত জানাতে পারবো।
মধুখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রথিন্দ্র নাথ তরফদার বলেন, ঘটনাটি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রোজিনা ও তার মা পারুল আক্তারকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। সুত্র:- দৈনিক ইত্তেফাক