• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
মান কচুর ৬ টি গুনাগুন

বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের কচু পাওয়া যায়। যেমন – ওলকচু ,মানকচু, দুধকচু, কচুশাক, প্রভৃতি। সব রকম কচুর মাঝে মানকচুর মান বেশি। মানকচু সহজে হজম হয় ,পিত্ত ও রক্তের দোষ বিনষ্ট করে।

মানকচু মল ও মুত্র বৃদ্ধি করে। শরীর ঠাণ্ডা রাখে। বাতের রোগ সারতে মানকচু খুবই কার্যকারী।

মানকচুর শেকড়ের এক টুকরো থেতলে বের করা রসনালী ঘায়ে দিলে পুজ, রক্ত, দুষিত রস সব বেরিয়ে যায় এবং ঘায়ের ক্ষত দিন চার দিনের মাঝে সেরে যায়। পচা নালীঘায়েও ঐ ওষুধ খুবই উপকারী

অর্শ ও কোষ্ঠবদ্ধতায় মানকচু খাওয়া ভাল।

বড় ও পুষ্ট মানকচুর খোসা ছাড়িয়ে চাক চাক করে কেটে রোদে শুকিয়ে গুড়ো করা হলে একে বলে মানকচুর শুধ রান্না করে খেলে উদরী পেটে জল ভরা রোগ ও শোথ ভাল হয়।

চালের গুড়োতে কিছু দুধ, পানি ও চিনির সাথে মানকচুর শুধ মিলিয়ে পায়েস রান্না করে খেলে পেটের অসুখ উপকার পাওয়া যায়।

পুরোনো মানকচুর শুধ কুসুম গরম দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে পেটের অসুখ মোথ ও পিলের রোগ সারে।

রোগীকে সাগু বা এরারুট না খাইয়ে পথ্য হিসেবে মানকচুর শুধ দুধে ফুটিয়ে নিয়ে খাওয়ালে বেশি উপকার পাওয়া যায়।

কচু পাতার মতো মানকচুর পাতাও শরীরের জন্য বেশ উপকারি। রাতকানা রোগের ওষুধ হিসাবে প্রায়ই কচুশাক রান্না করে খাওয়া ভালো। মানকচুর পাতা সেদ্ধ করে পানি ফেলে দিয়ে ডাল ও গরম মসলা দিয়ে কচুপাতার ঘন্ট রান্না বেশ সুস্বাদু। মানকচু ও চাক চাক করে কেটে তারপর সিদ্ধ করে পাটায় বেটে ডাল ও গরম মশলা দিয়ে রান্না করা যায়। এছাড়া মানকচু সেদ্ধ করে পানি ফেলে দিয়ে চাক চাক করে কেটে তেলে ভেজে খেতে খুবই ভালো লাগে।

কচুর অনেক গুন আছে। তবে কুষ্ঠ দাদ আমাশা রক্তপি প্রভৃতি অসুখে কচু খাওয়া একেবারেই মানা। অজীর্ণ রোগেও কচু খাওয়া উচিত নয়।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।