বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের পিক-টাইম চলছে বলে মন্তব্য করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিজ্ঞানী ডা. বিজন কুমার শীল বলেছেন, আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে করোনা থেকে আমাদের মুক্তি হবে। সে সঙ্গে আনন্দের খবর হলো, দেশের অনেক মানুষের এন্টিবডি তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, যে পরিবারের একজন মানুষের ইনফেকশন হয়েছে, তিনি করোনাতে আক্রান্ত হয়েছেন, সে পরিবারের সব সদস্যের ভেতরে ভেতরে এন্টিবডি তৈরি হয়েছে বলে আমাদের এক জরিপে পাওয়া গেছে। করোনার এই মহামারির সময়ে যেটি অত্যন্ত ভালো সংবাদ। আমাদের দেশে যত মানুষ করোনাতে আক্রান্ত হয়েছেন, তার ১০ গুণ বেশি মানুষের মধ্যে এন্টিবডি ফিরে এসেছে।
এই চিকিৎসক বলেন, দেশে ১৬ কোটি মানুষ, সেই হিসাবে একজন করে সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা মানুষের হিসাব করলে সেটা অনেক। যদিও সংখ্যাটা সার্ভে না করে নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না।
এন্টিবডি টেস্টের পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার এবং এটি খুবই ভালো খবর মন্তব্য করে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে জানতে পেরেছি, এন্টিবডি টেস্ট হয়তো শুরু হবে। যদি সরকার পদক্ষেপ নেয়, কেবল রাজধানী ঢাকাতেও যদি এটা সার্ভে করা হয়, তাহলেও বোঝা যাবে কত মানুষের মধ্যে এন্টিবডি তৈরি হয়েছে। এটা খুবই আনন্দের কথা।
এই চিকিৎসকের ধারণা, ঢাকা শহরের অনেকের ভেতরেই এন্টিবডি রয়েছে। তবে এটা জানা দরকার। তাহলে মানুষ ভয় থেকে মুক্ত হতেন। আর তখন দেশের অর্থনৈতিক চাকাও ঘোরা শুরু করবে।
ডা. বিজন কুমার শীলের ভাষায়, বাংলাদেশে এখন করোনাভাইরাসের পিক টাইম চলছে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, পিক যত দ্রুত হবে, তত দ্রুত আমরা সেখান থেকে নেমে আসব এবং তত দ্রুত ইনফেকশন চলে যাবে।
তিনি বলেন, ভাইরাস যত দ্রুত ওঠে, তার চেয়েও বেশি দ্রুত নেমে যায়। কারণ যখন সে কোথাও আক্রমণ করে তখন সে একটা ‘ভার্জিন পপুলেশন’ পায়, যেখানে ভাইরাসের বিপক্ষে কোনো এন্টিবডি ছিল না। কিন্তু, যতই সেটা দীর্ঘস্থায়ী হয়, ততই তার সামনে অসংখ্য এন্টিবডি সৃষ্টি হয়। ইমিউন সিস্টেমবাহী মানুষের সঙ্গে মোকাবিলা করতে হয় তাকে। আর এন্টিবডি তৈরি হওয়া মানুষের সঙ্গে মোকাবিলা করে ভাইরাস এগোতে পারে না। আমাদের দেশেও সেটা হচ্ছে। এভাবেই ভাইরাসকে বিতাড়ন করা হয়। আরও পড়ুন
## বর্ষাকালীন শিশুর রোগ- বালাই