করোনাভাইরাস মহামারিতে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত এলাকায় জনসাধারণকে ইবাদত-উপাসনা নিজ নিজ ঘরে পালনের জন্য নির্দেশ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
শনিবার (১৩ জুন) মন্ত্রণালয়ের এক নির্দেশনায় এ আহ্বান জানানো হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। সংক্রমণ ও প্রাণহানির সংখ্যা বাড়ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক করোনা ঝুঁকি বিবেচনায় দেশের যেকোনও ছোট বা বড় এলাকাকে লাল, হলুদ বা সবুজ জোন হিসেবে চিহ্নিত কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে কিছু এলাকায় প্রাথমিকভাবে পরীক্ষামূলক জোনিং সিস্টেম বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। ১২ জুন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলোতে মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডাসহ অন্যান্য উপসনালয়ে সর্বসাধারণের আগমন বন্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সবার সঙ্গে পরামর্শক্রমে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলোতে জনসাধারণের মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডাসহ অন্যান্য উপসনালয়ে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ইবাদত-উপাসনার বিষয়ে নিম্নোক্ত নির্দেশ দেওয়া হলো:
১) করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ডে জোন হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলোতে মসজিদের খতীব, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেম ব্যতীত অন্যসব মুসুল্লিকে সরকারের পক্ষ থেকে নিজ নিজ ঘরে নামায আদায় এবং জুমআর জামাতে অংশগ্রহণের পরিবর্তে ঘরে জোহরের নামায আদায়ের নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে।
২) উল্লিখিত এলাকাসমূহে মসজিদে জামাত চালু রাখার প্রয়োজনে খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদেমসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অনধিক ৫ জন এবং জুমআর জামাতে অনধিক ১০ জন শরিক হতে পারবেন। জনস্বার্থে বাইরের কোনও মুসল্লি মসজিদের ভেতরে জামাতে অংশ নিতে পারবেন না।
৩) উল্লিখিত এলাকাসমূহে অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদের উপাসনালয়ে সমবেত না হয়ে নিজ নিজ ঘরে উপাসনা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে।
৪) এ সময় সারা দেশে কোথাও ওয়াজ মাহফিল, তাফসির মাহফিল, তাবলীগি তালীম বা মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা যাবে না। সবাই ব্যক্তিগতভাবে তিলাওয়াত, জিকির ও দুআর মাধ্যমে মহান আল্লাহর রহমত ও বিপদ মুক্তির প্রার্থনা করবেন।
৫) অন্যান্য ধর্মের অনুসারীরাও এ সময়ে কোনও ধর্মীয় বা সামাজিক আচার অনুষ্ঠানের জন্য সমবেত হতে পারবেন না।
৬) সব ধর্মের মূলনীতির আলোকে এবং জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে এই নির্দেশনা জারি করা হলো। উপরের নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট ধমীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের পরিচালনা কমিটিকে অনুরোধ জানানো হলো। কোনও প্রতিষ্ঠানে উক্ত সরকারি নির্দেশ লঙ্ঘিত হলে প্রশাসন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।