• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
জুমার দিনের গোসল সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

ছবি প্রতিকী

ইসলাম ধর্মে পবিত্র জুমার দিনকে ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতরের চেয়েও বেশি মর্যাদাপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আর এ জুমার দিনে গোসল করার গুরুত্বও অপরিসীম। জুমার দিনে গোসল করে তাড়াতাড়ি মসজিদে গেলে অনেক সওয়াবের ভাগীদারও হওয়া যায়।

সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন জুমার দিনে গোসল সম্পর্কে হাদিসে বর্ণিত সাহাবিদের কিছু উক্তি সময় পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো-
১. হযরত আবু হোরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত- হযরত মোহাম্মদ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি গোসল করে জুমার মসজিদে আসে, নির্দিষ্ট করা নামাজ পড়ে, ইমামের খুতবা শেষ না হওয়া পর্যন্ত নীরব থাকে এবং ইমামের সাথে নামাজ পড়ে, তবে এক জুমা হতে অন্য জুমা পর্যন্ত তার যত গুনাহ হয়, তা সবই ক্ষমা করে দেয়া হয়। (মুসলিম)

২. হযরত সালমান (রা.) হতে বর্ণিত- রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি শুক্রবার দিন গোসল করে, যতটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে উত্তমরূপে তেল ব্যবহার করে, সুগন্ধি ব্যবহার করে, দুই ব্যক্তির মধ্যে কোনও পৃথক স্থান না হলে নিজ অদৃষ্ট অনুযায়ী যদি নামাজ পড়ে এবং ইমাম কিরাত পাঠের সময় নীরব থাকে, তবে এক জুমা হতে অন্য জুমা পর্যন্ত তার যত গুনাহ হয়, তা সবই মাফ করে দেয়া হয়। (বোখারী)
৩. হযরত আউস (রা.) হতে বর্ণিত- রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল কলে এবং গোসল করায়, সকালে জাগে ও জাগায়, পায়ে হাঁটে এবং আরোহণ করে না এবং বৃথা কথা না বলে ইমামের কাছে আছে, তার প্রত্যেক পদক্ষেপে এক বছরের নামাজ ও রোজার সওয়াব হয়। (তিরমিজী)
৪. হযরত বারায়া (রা.) হতে বর্ণিত- রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, মুসলমানদের জুমার দিন গোসল করা কর্তব্য। তাদের প্রত্যেকের স্ত্রীর সুগন্ধি ব্যবহার করা কর্তব্য। যদি সুগন্ধি না থাকে তবে পানিই তাদের সুগন্ধি। (তিরমিজী)
৫. হযরত ওবায়েদ (রা.) হতে বর্ণিত- রাসুলুল্লাহ (সা.) এক জুমায় বলেছেন, হে সমবেত মুসলমানগণ! নিশ্চয় তা এমন দিন যা আল্লাহ ঈদ বানিয়েছেন। গোসল করো। যার কাছে সুগন্ধি আছে সে সেটি ব্যবহার করলে তা অনিষ্ট করবে না। তোমরা মেসওয়াক (দাঁতন) করবে। (আবু দাউদ)

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।