• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৭শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই মে, ২০২৪ ইং
গর্ভকালীন স্বাস্থ্য টিপস

ছবি প্রতিকী

একজন সুস্থ্য মা-ই পারে একটি সু্স্থ ও স্বাভাবিক শিশুর জন্ম দিতে। তাই গর্ভবতী মায়ের জন্য প্রয়োজন সঠিক যত্ন ও পরিচর্যা। গর্ভকালীন সময়টিতেই একজন মা কে সবচাইতে বেশী গুরুত্ব সহকারে যত্ন নেওয়া উচিত। কেননা এই সময়টিতে সামান্য ভুল কিংবা অসাবধানতার কারণে ঘটে যেতে পারে অনাকাঙ্খিত ঘটনা। তাই গর্ভকালীন সময়ে মায়ের পুষ্টিকর খাবার প্রদান, সময় মত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ভারীকাজ না করা এই সব দিকে খেয়াল রাখতে হবে। গর্ভবতি অবস্থায় মায়ের পুষ্টিকর খাবারের প্রয়োজন হয় সন্তানের দৈহিক বিকাশের জন্য তাই এই দিকে বেশি খেয়াল রাখতে হবে। তাছাড়া সংবেদনশীল এই সময়টিতে জরুরী কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে যা আপনার এবং আপনার গর্ভের শিশুকে রাখবে সুস্থ। এই সব বিষয় নিয়েই পুষ্টি বাড়ির আজকের Bangla health tips for pregnancy পোস্ট টি, মনযোগ দিয়ে দেখুন আশা করি অনেক উপকারে আসবে।:

গর্ভকালীন সময়ে মায়ের চাই বিশেষ যত্ন। কারণ এই সময়ের বাড়তি যত্নই তার থেকে আগত নবজাতকের উপর প্রভাব বিস্তার করে। তাই মহিলাদের গর্ভধারনের পূর্বেই নিজের স্বাস্থ্য, গর্ভধারণ ও সন্তান পালন সংক্রান্ত বিষয়ে সচেতন হওয়া দরকার।
মা যাতে গর্ভকালীন সময়ে নিজের যত্ন নিতে পারেন,আসন্ন প্রসবের জন্য নিজে তৈরী হতে পারেন এবং নবজাত শিশুর যত্ন নিতে পারেন তার সম্পর্কে শিক্ষা নেয়া জরুরি ।
গ্রেগনেন্ট হয়েছেন এটা জানার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন, যাতে আপনার অনাগত সন্তানের জন্মপূর্ব যত্নের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পারেন আপনি। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী টিকা নিতে হবে।
গর্ভবতী মায়েদের সুস্থতার জন্য স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাদ্য খাওয়া উচিৎ। দিনে ৫-৬ বার ফল ও সবজি খান।
গর্ভবতী নারীদের পর্যাপ্ত পরিমাণে আমিষ জাতীয় খাদ্য যেমন- মাছ, চর্বিহীন মাংস, ডাল, ডিম, বাদাম এবং দুধ ও দুগ্ধ জাতীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজন।
সপ্তাহে অন্তত দুইদিন মাছ খাওয়ার চেষ্টা করুন, যার মধ্যে একটি ফ্যাটি ফিশ থাকা জরুরী। মাছে থাকা ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড গর্ভজাত সন্তানের নার্ভাস সিস্টেম বা স্নায়ুতন্ত্রের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন। হাঁটা, সাঁতার কাটা, ইয়োগা করা ইত্যাদি ব্যায়ামগুলো গর্ভাবস্থার জন্য নিরাপদ। ব্যায়ামের ফলে শক্তি ও সহ্য ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। যা প্রেগনেন্সির সময়ে শরীরের অতিরিক্ত ওজন বহন করা এবং প্রসবের শ্রম সহ্য করার ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। বাচ্চার জন্মের পড়ে দেহের আকৃতি পুনরায় পূর্বের অবস্থায় ফিরে পেতে সাহায্য করে।
চা, কফি, কোলা এবং এনার্জি ড্রিংক উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। এই সব খাবার ত্যাগ করুন।
গর্ভবতী অবস্থায় করণীয়

দৈনিক স্বাভাবিকের চেয়ে সাধ্যমত বেশি খাবার খেতে হবে।
গর্ভবতী মহিলাকে নিয়মিত প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে।
গর্ভাবস্থায় স্বাস্থ্য সেবাদানকারীর দ্বারা কমপক্ষে ৩ বার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে।
গর্ভাবস্থায় ২টি টিটি টিকা নিতে হবে।
দুপুরের খাবারের পর কমপক্ষে ১-২ ঘন্টা বিশ্রাম নিতে হবে।
গর্ভবতী মহিলাকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। তাকে নিয়মিত গোসলও করতে হবে।
গর্ভবতী অবস্থায় যা করা যাবে না

গৃহস্থালীর কঠিন কাজ যেমন-ধান মাড়াই,ধান ভানা, ঢেঁকিতে চাপা ইত্যাদি
ভারী কোন কিছু তোলা
দূরে যাতায়াত করা এবং ভারী কিছু বহন করা
শরীরে ঝাঁকি লাগে এমন কাজ করা
স্বাস্থ্য কর্মী বা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ গ্রহণ করা
ঝগড়া ঝাটি এবং ধমক দেয়া
জর্দা,সাদা পাতা খাওয়া
তামাক,গুল ব্যবহার করা
সম্মানিত পাঠক Bangla health tips for pregnancy পোস্ট টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আপনার পরিবারে যদি কোন গর্ভবতী মহিলা থাকে তাহলে তার প্রতি অধিক মনোযোগ দিন যাতে ভবিষ্যতের সম্ভাবনাটি সুস্থ দেহে পৃথিবীর আলো দেখতে পারে।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

মে ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« এপ্রিল    
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।