• ঢাকা
  • রবিবার, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে মে, ২০২৪ ইং
৮০%-এর বেশি রোগীরই হাসপাতাল দরকার নেই

ছবি প্রতিকী

দেশে করোনার সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। রোগীদের চাপ বাড়ছে হাসপাতালে। সাধারণ শয্যা, আইসিইউসহ নানা চিকিৎসা সরঞ্জামাদির সংকট থাকায় কভিড নির্ধারিত হাসপাতালে সব রোগী ভর্তি হতে পারছেন না। চিকিৎসা মিলছে না অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতালেও।

ফলে করোনা উপসর্গ বা পজিটিভ রোগীদের চিকিৎসা নিয়ে এক ধরনের উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রোগীদের। বিশেষ করে কারও শরীরে এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎসা পাওয়ার ভয়ে উৎকণ্ঠায় পুরো পরিবার। ভর্তির জন্য রোগী নিয়ে ছুটতে হচ্ছে বিভিন্ন হাসপাতালে। সময়মতো ভর্তি হতে না পেরে একদিকে যেমন রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়ছে, তেমনি একজনের থেকে সংক্রমিত হচ্ছেন অন্যরাও। ফলে বাধ্য হয়ে বেশিরভাগ মানুষই এখন বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এমনকি জটিলতা এড়াতে তারা পরীক্ষাও করছেন না।
বাসায় চিকিৎসা নিতে গিয়ে নানা ধরনের জটিলতাও দেখা দিচ্ছে। নিজেদের মতো করে চিকিৎসা নিতে গিয়ে কোনো কোনো সময় শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হচ্ছে।
অক্সিজেন সিলিন্ডার রাখছেন, কিন্তু মাত্রা অনুযায়ী সেটি প্রয়োগ করতে পারছেন না। এমনকি রিডিং ঠিক না থাকায় বাসায় ব্যবহৃত পালস অক্সিমিটার যন্ত্রেও ঠিকমতো রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা জানা যাচ্ছে না। ওষুধ সেবনে নানা সমস্যা তৈরি হচ্ছে। ফলে সুস্থ হওয়ার বদলে রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে। এছাড়া ঠিক কোন উপসর্গ বা লক্ষণ দেখা দিলে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে, সেটাও জানতে পারছেন না রোগীরা। সময়মতো হাসপাতালে আসতে না পেরে রোগীর অবস্থা খারাপ হচ্ছে। কখনো কখনো মৃত্যুর মতো ঘটনাও ঘটছে।
এমন পরিস্থিতিতে করোনা মহামারীর সময় মানুষকে উদ্বিগ্ন না হয়ে সতর্ক থাকতে বলছেন দেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। বিভিন্ন কভিড হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকের মতে দেশে ৮০ শতাংশেরও বেশি করোনা রোগীর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দরকার নেই। তারা বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হতে পারেন।
বাসায় চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন এমন বেশ কয়েকজন রোগীও বাসায় চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার পরামর্শ দিয়েছেন। তারা বলেছেন, মানসিকভাবে শক্ত থেকে নিয়মাবলি মেনে চললে সহজেই করোনা মোকাবিলা করা সম্ভব। তবে সেজন্য রোগীদের অবশ্যই সাহস রাখতে হবে এবং চিকিৎসকরা যে পরামর্শ দেন, সেগুলো সঠিকভাবে মানতে হবে।
এ ব্যাপারে মুগদা জেনারেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক অধ্যক্ষ এবং সম্প্রতি গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেওয়া অধ্যাপক ডা. শাহ গোলাম নবী বলেন, বর্তমানে ৮০ শতাংশেরও বেশি রোগী বাসায় থেকে চিকিৎসা নিয়েই ভালো হতে পারেন। তবে তাকে কিছু নিয়ম মানতে হবে।
একই মত দেন বেসরকারি হাসপাতাল ‘হেলথ অ্যান্ড হোপ’র স্বত্বাধিকারীদের একজন ও প্রিভেন্টিভ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী। তার হাসপাতাল প্রথম থেকেই করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন, করোনা আক্রান্ত রোগীদের ৮০ ভাগেরই প্যারাসিটামল ও অ্যান্টি-হিস্টামিন বাদে অন্য কোনো ওষুধ লাগে না। কাজেই তারা যেন ভীত না হন। সাধারণ দেশি তাজা ফলমূল, পানি, স্বাভাবিক খাবার খেলেই ঠিক হয়ে যায়। বাকি যে ২০ ভাগ, এর মধ্যে ৪-৬ ভাগ লোকের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দরকার হয়। তার মানে করোনা হলেই যে আতঙ্ক ও ভয়ে ছোটাছুটি করতে হবে, এটার কোনো কারণ নেই। যদি টেস্ট পজিটিভ আসে বা উপসর্গ দেখা দেয়, সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। তিনি আপনাকে বলে দেবেন আপনি কী করবেন।
এ দুই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন, যাদের আগে থেকেই শরীরে বড় কোনো রোগ রয়েছে, তারা ছাড়া অন্যদের জন্য এটি তেমন দুশ্চিন্তা বয়ে আনে না। এজন্য বলছি যে, অপ্রয়োজনে বাসা থেকে বের হবেন না। বের হলে মাস্ক-গ্লাভস ব্যবহার করবেন। একজন মানুষ থেকে আরেকজন মানুষের শারীরিক দূরত্ব তিন ফুটের বেশি মেনে চলুন। তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বাসায় অক্সিজেন না নেওয়ার পক্ষে মত দেন।
কোন পরিস্থিতিতে একজন করোনা রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে জানতে চাইলে অধ্যাপক ডা. শাহ গোলাম নবী বলেন, যদি কারও শ্বাসকষ্ট, কাশি ও জ্বর তিনটাই অনেক বেশি থাকে, অক্সিজেন স্যাচুরেশন যদি ৯৩-এর নিচে থাকে, তাহলে তাকে হাসপাতালে নিতে হবে। এছাড়া সে বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিতে পারবে।
এ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন, বাসায় চিকিৎসার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো মলিকুলার হেপারিন (ক্লেক্সিন) ইনজেকশন যদি নিতে পারে, তাহলে শ্বাসকষ্ট ভালো হয়। ৪০ মিলিগ্রাম দিনে একটা করে নেবে চামড়ার নিচে। রক্তে অক্সিজেনের প্রবাহ অনেক বেড়ে যায়। এছাড়া শ্বাসকষ্ট হলে অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট নিতে পারে। দিনে তিনটি। অ্যান্টি-হিস্টামিন ফেক্সো ৬০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট নিতে পারে, দিনে দুটি খাবে। সাপোর্টিভ হিসেবে জিঙ্ক খাবে দিনে একবার।
বাসায় অক্সিজেন ব্যবহারের ক্ষেত্রে তিনি বলেন, পালস অক্সিমিটার মেশিনে যদি দেখে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৩-এর নিচে নেমে গেছে এবং সেখানেই থাকছে, তাহলে সে বাসায় অক্সিজেন নিতে পারে। খাবার-দাবারের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমার ব্যক্তিগত পরামর্শ হলো, যেহেতু উচ্চ প্রোটিন লাগে, সেজন্য সকালে ও রাতে একটা করে ডিম খাবে। এছাড়া মাছ-মাংস ও শাকসবজি বেশি করে খাবে। গরম পানি দিয়ে লেবুর শরবত দিনে দুবার খাবে। মেনথল দিয়ে দিনে কমপক্ষে দুবার গরম পানির ভাপ নেবে। গার্গল করতে পারে। তবে ভাপটা বেশি দরকার। এটা করলে ভাইরাস শ্বাসযন্ত্রে যেসব বাধা তৈরি করে, সেটা কমে যাবে ও শ্বাস নিতে পারবে। এতে শ্বাসকষ্ট কমে যাবে। আর শ্বাসকষ্ট কমলেই তার অক্সিজেন স্যাচুরেশনটা বাড়বে।
জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল দিনে দুই বা তিনবার খাবে। জ্বর ও শ্বাসকষ্ট কমায় রাখতে হবে। শ্বাসকষ্টের জন্য ডক্সিভা ট্যাবলেট ১০০ মিলিগ্রাম দিনে দুবার খাবে। ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন দূর করার অ্যান্টিবায়োটিক খাবে মক্সাক্লাভ ক্যাপসুল দিনে দুটি। কমপক্ষে ১০ দিন। সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মাইক্রো থোম্বল মানে মাইক্রো লেভেলে রক্তটা জমাট বাঁধা। এটাই শ্বাসকষ্ট বাড়ায়। এটাই ফুসফুসে অক্সিজেন ঢুকতে বাধা দেয়। এটা প্রিভেন্ট করার জন্য লো মলিকুলার হেপারিন (ক্লাক্সেন) ইনজেকশন চামড়ার নিচে যদি ১০ দিন দেয় তাহলে শ্বাসকষ্ট ভালো হয়ে যায়।
‘এছাড়া শ্বাসের কিছু ব্যায়াম করতে হবে। জোরে টেনে নিশ্বাস নিয়ে ১০-২০ সেকেন্ড বন্ধ রেখে আবার বড় করে ছাড়বে। আবার নেবে। এ ব্যায়ামের জন্য কিছু বল পাওয়া যায়। ফুঁ দিয়ে বলটাকে ওপরে ওঠাবে। এসব ব্যায়াম দিনে চার-পাঁচবার করবে’ বলেন এ চিকিৎসক।
মুগদা মেডিকেল কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. টিটো মিয়া বলেন, যখন তার শ্বাসকষ্ট হয়, অক্সিজেন স্যাচুরেশন যদি ৯ থেকে যদি ৯১ বা ৯২-এর দিকে চলে যায়, বা তার শ্বাসপ্রশ্বাসের কাউন্ট যদি ২৪ (প্রতি মিনিটে শ্বাসপ্রশ্বাসের রেট)-এর বেশি হয়, বা যেকোনো ধরনের শ্বাসকষ্ট, অস্থিরতা যদি লাগে, বা প্রেসার যদি কমে যায়, যদি বেহুঁশের মতো হয়ে যায়, অথবা মাথা ঘুরতে থাকে, পড়ে যাবে, এসব লক্ষণ থাকলে সে হাসপাতালে যাবে। আবার এমন কোনো লক্ষণ নেই এমন করোনা রোগীর যদি অন্য কোনো রোগ থাকে (যেমন- ব্লাড প্রেসার বেশি, অ্যাজমা, ব্রংকাইটিস, অনেক মোটাসোটা) তাদের হাসপাতালে চলে যেতে হবে।
এ চিকিৎসকও বাসায় কোনো অক্সিজেন নেওয়া উচিত না বলে মত দেন। তিনি বলেন, কারণ রোগীরা বুঝতে পারে না কতটুকু নিতে হবে। এটা নিরাপদও নয়। অনেকে অক্সিজেন নেয়। ভাবে অক্সিজেন স্যাচুরেশন ঠিক আছে। কিন্তু অনেক সময় এমন হয় ফুসফুসের অবস্থা খারাপ হলে স্যাচুরেশন কম হয়। কিন্তু সেভাবে যেহেতু অক্সিজেন নিচ্ছে, সে ঠিক আছে। তখন রোগীর অবস্থার তুলনায় অক্সিজেন স্যাচুরেশনটা অনেক কমে যায়। সুতরাং এতে রোগীর অবস্থা খারাপ হতে পারে। তাই বাসায় অক্সিজেন নেওয়া উচিত নয়। অক্সিজেন দরকার হলে হাসপাতালে যেতে হবে।
ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, বিশেষ করে আবদ্ধ ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এবং যেখানে ভেন্টিলেশন কম হয়, এমন জায়গাগুলো এড়িয়ে চলুন। ছোটখাটো প্রয়োজনে হাসপাতাল ও ডাক্তারের চেম্বার এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ এগুলো হচ্ছে রোগ ছড়ানোর বড় একটি জায়গা।
ঠিক কোন অবস্থায় একজন রোগীকে হাসপাতালে যেতে হবে জানতে চাইলে ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, যখন তার শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যেতে থাকবে, অথবা শ্বাসকষ্ট শুরু হবে, অথবা যদি ডায়রিয়া হয়ে থাকে, তখন তাকে হাসপাতালে যেতে হবে। এ পর্যায়গুলো কিন্তু প্রত্যেকটা মানুষ বুঝতে পারে। তাকে বলে দিতে হয় না।
তবে বাসায় বসে কিছুতেই অক্সিজেন প্রয়োগ না করার পরামর্শ দেন এ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। তিনি বলেন, মেডিকেল অক্সিজেন অন্য আর দশটা ওষুধের মতোই একটা ওষুধ। অন্য ওষুধ যেমন নিজে নিজে খাওয়া যায় না, নির্দিষ্ট ডোজের বেশি খেলে বিষে রূপান্তর হয় এবং কম খেলেও শরীরের ক্ষতি করে, অক্সিজেনও তেমনি। যে পরিমাণ অক্সিজেন নেওয়া দরকার, তার চেয়ে বেশি নিলে ফুসফুসে ও শরীরে ক্ষতি করে। তাই কেউ যদি মনে করেন বাসায় অক্সিজেন সিলিন্ডার কিনে রেখেছেন এবং বাসায় বসে নেবেন, এটি মোটেই উচিত নয়। এতে ভালোর চেয়ে মন্দ ঘটার সম্ভাবনায় বেশি। অক্সিজেনের ঘাটতি হলে শ্বাস নিতে পারবে না। এটা এমনিতেই বোঝা যায়।
বাসায় পালস অক্সিমিটার মেশিন ব্যবহারের ক্ষেত্রেও বেশকিছু শর্ত দেন ডা. লেলিন চৌধুরী। তিনি বলেন, এটা দিয়ে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা মাপা হয়। এটা দিয়ে মেপে কেউ অক্সিজেন দেওয়া লাগবে কি না, সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তবে ঝামেলা হলো, অনেক ক্ষেত্রেই আমরা দেখেছি পালস অক্সিমিটার মেশিনটা নকল, অথবা ভুল অথবা ঠিকমতো লাগানো হয়নি, তাতে রিডিংটা ভুল দেবে। এতে আবার আরেক ধরনের ঝামেলা তৈরি হবে। সাধারণত ৯২-৯৮-এর মধ্যে অক্সিজেন স্যাচুরেশন থাকতে হয়। ৯০-এর নিচে এলে আমরা সতর্ক হই। আর যদি ক্রমেই নিম্নমুখী হয়, তখন হাসপাতালে ভর্তি করতে বলি। হাসপাতালে এলে তাকে শুধু অক্সিজেন থেরাপিতে রাখলেও অসুবিধা নেই।
বাসায় থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন, এমন এক গণমাধ্যমকর্মী  জানান, প্রথমে শরীর ব্যথা হতে পারে। খাবারের স্বাদ পাবেন না। ১০০-১০৩ ডিগ্রি পর্যন্ত জ্বর হতে পারে। গলা ব্যথা, কাশি ও শ্বাসকষ্ট হবে। কাশির শেষে বুক বেশ ধড়ফড় করত এবং শ্বাসকষ্ট হতো। গরম পানি, মধু মিশিয়ে গরম পানি, গ্রিন টি, কালোজিরা ছিল সার্বক্ষণিক খাবার। রোজ সেদ্ধ ডিম এবং আনারস, মালটা খেয়েছেন। ভাত খেতে খারাপ লাগে। এসন সময় গরম স্যুপ (টমেটো, গাজর, বরবটি, ক্যাপসিক্যাম, কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ, রসুন এবং মুরগির মাংস দিয়ে তৈরি স্যুপ) খেয়েছেন।
আক্রান্তরা বলেছেন, করোনা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কোনো অবস্থাতেই মনোবল হারানো চলবে না। নিজের শরীরের সঠিক তথ্য আপনজন এবং ডাক্তারকে জানাতে হবে। মন ভালো রাখতে কাছের কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে নিয়মিত আলাপ করতে পারেন। সিনেমা দেখতে পারেন। তবে পর্যাপ্ত ঘুমও দরকার।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

মে ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« এপ্রিল    
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।