• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ ইং

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে

ফরিদপুরে গনহত্যার ইতিহাস নিয়ে নির্মিত ঈশানের আটাইশ নাটক

নিরঞ্জন মিত্র(নিরু)(ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধিঃ

ফরিদপুরে মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানতে গণহত্যার পরিবেশ থিয়েটার ‘ঈশানের আটাইশ’ নাটকের মঞ্চায়ন উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর ব্যবস্থাপনায় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে, (১১ ডিসেম্বর) শনিবার রাতে সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের জমিদার বাড়ীর বধ্যভূমিতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক সংঘটিত ঈশান গোপালপুর বধ্যভূমি গণহত্যার ইতিহাস নিয়ে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত শিল্পী মোঃ শাহাদাৎ হোসেন এর রচনা, পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় ‘ঈশানের আটাইশ’ নাটকের বর্ণাঢ্য আয়োজনে উৎসবমুখর পরিবেশে মঞ্চায়িত হয়।

ফরিদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের সভাপতিত্বে, ‘ঈশানের আটাইশ’ এর নাটকটি ভার্চুয়ালি জুমের মাধ্যমে থেকে উদ্বোধন করেন
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।

ভার্চুয়ালি জুমের মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, মহান স্বাধীনতা বাঙ্গালি জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস। এই ইতিহাস কোনভাবে ভোলার নয়, চাইলেও কেউ মুছে ফেলতে পারবে না। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আমাদের দেশের মানুষের উপরে নির্মম অত্যাচার করেছেন । ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে দেশকে অনেক দূরে ঠেলে দিয়েছিল। ঘাতকরা চেয়েছিল বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস মুছে ফেলতে কিন্তু সে আশা তাদের পূরণ হয়নি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে। ১৯৭১ সালে কি হয়েছিলো সেইসব কথা পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। অপপ্রচার থেকে রক্ষা করতে আমাদের সচেতন হতে হবে। তিনি সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে আসতে হবে বলে জানান।

তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সারা দেশে গণহত্যা চলছিলো। গণহত্যা ইতিহাসে এক বর্বর অধ্যায় সৃষ্টি করেছে।
আমাদের দেশে প্রায় পাঁচ হাজার গণহত্যার স্থান রয়েছে। তারা তো আমাদের কাছে কিছুই চায় না। আমরা কি পারি না তাদের বধ্যভূমিতে গিয়ে একটু স্মরণ করতে। স্বাধীনতার ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানতে সত্য ঘটনাকে জানতে ‘ঈশানের আটাইশ’ নাটকটি যুদ্ধের সময়কার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তুলে ধরা হয়েছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন
সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাসুদুল আলম,বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম ফরিদ, ঈশান গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম মজনু, ঈশান পরিবারের পঞ্চম প্রজন্ম উৎপল সরকার।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জমিদার বাড়ীর ঈশান পরিবারের লিপিকা সরকার, শহীদ পরিবারের চিত্ত ঘোষ, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের সহযোগী অধ্যাপক রেজভী জামান, রাসিন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ও নারী নেত্রী আসমা আক্তার মুক্তাসহ মুক্তিযোদ্ধা জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, পুলিশ বিভাগ, বিএনসি, শিল্পকলা একাডেমীর সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ফরিদুর শিল্পকলা একাডেমীর জেলা কালচারাল অফিসার পার্থ প্রতিম দাশ।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

অক্টোবর ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« সেপ্টেম্বর    
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।